মিরপুর থেকে: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মুমিনুল হকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েও জয় পেল না রাজশাহী কিংস। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে তিন রানের জয় তুলে নিল খুলনা টাইটান্স।
ব্যাটিংয়ের পর দারুণ বোলিং করে ম্যাচ সেরা হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
১৩৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী কিংস। ইনিংসের শেষ বলে জয়ের জন্য চার রানের প্রয়োজন ছিল। তবে ব্যাটিংয়ে থাকা নাজমুল ইসলাম ডাউন দ্যা উইকেটে খেলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ’র বলে স্ট্যাম্পিং হন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৩০ রান তুলতে সমর্থ হয় রাজশাহী।
দলের হয়ে দারুণ ব্যাটিং করে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। ৫৭ বলে ছয় চারের সাহায্যে ৬৪ করে আউট হন এ রাজশাহী ওপেনার। এর আগে ৪৯ বলে চারটি চারের সাহায্যে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল। এ সময় ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে ১০০ রান আসে রাজশাহীর।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন রাজশাহীর অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট পান জুনায়েদ খান।
সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় অর্ধশত রান করে রাজশাহী। পরে মোহাম্মদ আসগারের বলে ব্যক্তিগত ১০ রান করে আউট হন ইংলিশ ব্যাটসম্যান সামিত প্যাটেল।
এদিন অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহী। দলীয় ২৪ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। খুলনা পেসার জুনায়েদ খানের বলে ব্যক্তিগত চার রান করে আউটন হন নুরুল ও সাব্বির। আর এই পাকিস্তানি বোলারের তৃতীয় শিকার হন উমর আকমল। তিনি শূন্য রানে ফেরেন।
এর আগে আবুল হাসান রাজুর দুর্দান্ত বোলিং নিজেদের স্কোর বড় করতে পারেনি খুলনা টাইটান্স। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে আট উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তোলে দলটি। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন রাজু।
খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করে করেন রিকি ওয়েসয়েলস ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর রাজশাহী কিংসের হয়ে ৪ ওভারে ২৮ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন ডান হাতি পেসার রাজু।
রাজুর বলে একাধারে আউট হন ওয়েসয়েলস, মাহমুদউল্লা, অলক কাপালি, আরিফুল হক ও শফিউল ইসলাম।
এর আগে পর পর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে খুলনা টাইটান্স। দুই সেট ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অলক কাপালি লম্বা শট খেলতে গিয়ে ক্যাচের শিকার হন।
তিন ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় খুলনা টাইটান্স। ১২তম ওভারে রান আউটের ফাঁদে পড়েন শুভাগত হোম (৩)।
নিজের প্রথম ও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রাজশাহীকে ব্রেকথ্রু এনে দেন ইংল্যান্ড সিরিজের (টেস্ট) নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ১৮ রানের মাথায় ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন নিকোলাস পুরান (১৪)।
এরপর বেশ কয়েকটা ওভার পর আবারো উইকেট উল্লাসে মাতেন স্যামি-সাব্বির-মিরাজরা। টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় খুলনা।
আবুল হাসানের করা দশম ওভারের শেষ বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ওমর আকমলের হাতে ধরা পড়েন রিকি ওয়েসেলস (২২ বলে ৩২)। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই আব্দুল মজিদকে (২৫ বলে ১৫) নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি করেন স্পিনার সামিত প্যাটেল।
বুধবার (৯ নভেম্বর) বিপিএলের চতুর্থ আসরের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হন সাব্বির-মাহমুদউল্লাহ। সাব্বির রহমানের রাজশাহীর বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনা দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
প্রসঙ্গত, গতকাল (৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী দিনের দুই ম্যাচে জয় পায় তামিমের চিটাগং ভাইকিংস ও ঢাকা ডায়নামাইটস। হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মাশরাফির কুমিল্লাকে ২৯ রানে চিটাগং ও মুশফিকের বরিশাল বুলসকে আট উইকেটে হারিয়েছে সাকিবের ঢাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৬
এমআরএম/এমএমএস