মিরপুর থেকে: ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মেহেদি হাসান মিরাজ প্রমান দেন ব্যাটে-বলে সমান পারদর্শী তিনি। অলরাউন্ড নৈপুন্য দেখিয়ে তুলে নেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
সাব্বির রহমান, শুভাগত হোম খেলেছেন মিরাজের আগে। সেটা হয়তো মিরাজকে অবাক করেনি। কেননা আগের দুইজনই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। বিপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে মিরাজের মন খারাপ হওয়ার কথা। কেননা রাজশাহী কিংসের এ ক্রিকেটারকে আজ ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছে দশ নম্বরে!
শেষে নেমে স্ট্রাইক প্রান্তেই যেতে পারেননি মিরাজ। এ তরুণের ব্যাটিং দেখার জন্য যারা অপেক্ষায় ছিলেন তাদের অপেক্ষাটা আরও বাড়িয়ে দেন রাজশাহীর টেলএন্ডাররা। মিরাজ যখন নামেন তখনও ম্যাচের ৩ বল বাকি, দরকার ৪ রান। কিন্তু মিরাজ নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। আর স্ট্রাইক প্রান্তে যাওয়া হয়নি মিরাজের। শেষ দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ সামি ও নাজুমল ইসলাম অপু সিঙ্গেল না খেলে বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিলে অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে হার দেখতে হয় মিরাজকে।
মিরাজের আগে নামেন আবুল হাসান, ফরহাদ রেজা, মোহাম্মদ সামি। রাজশাহীর টিম ম্যানেজম্যান্ট হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন মিরাজ সলিড ব্যাটসম্যান! মিরাজের মতো প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাটসম্যানকে এত দেরীতে নামতে দেখে বিস্মিত হয়েছেন প্রতিপক্ষ দল খুলনা টাইটানসের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ আমার কাছে একটু সারপ্রাইজিং ছিল, আমি আশা করেছিলাম ও একটু উপরের দিকে নামবে। হি ইজ প্রমিজিং, ব্যাটিংয়েও ভালো করতে সক্ষম। আমার মনে হয়, ওকে আরো সুযোগ দেয়া উচিত। ’
ইংল্যান্ডে বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মিরাজ যেভাবে উইকেট নিয়েছেন তাতে অনেকেই ভেবে নিতে পারেন মিরাজ তো বোলার। কিন্তু টিম ম্যানেজম্যান্টের তো এভাবে ভাবার কথা নয়!
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, ০৯ নভেম্বর, ২০১৬
এসকে/এমএমএস