মিরপুর থেকে: ছক্কার মেশিন শব্দটাই মনে হয় গেইলের নামের সঙ্গে বেশি মানায়। কেননা গেইল মাঠে মানেই প্রতিপক্ষের বোলারের জন্য ত্রাস।
আর এই ধুন্ধুমার ছক্বার মার থেকে বিপিএলের প্রথম আসরে বরিশালের হয়ে নিজের প্রথম শতকের দেখা পেয়েছিলেন। ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে বরিশাল বার্নার্সের হয়ে ওই ম্যাচে তার ৬১ বলে ১১৬ রানের ইনিংসে ১১টিই ছিল ছক্কা আর চারের মার ছিল ছয়টি।
গেইলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ছয়ের মার ছিল আরও বেশি। দ্বিতীয় আসরে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের হয় সিলেট রয়্যালসের হয়ে খেলে ৫১ বলে, ৫টি চার ও ১২টি ছ’য়ের মারে গেইল খেলেছিলেন ১১৪ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। তাইতো ছক্কা মারা নিয়ে এমন আনন্দ যা কী না ছাপিয়ে যায়, ম্যাচ জয়ের পরে সতীর্থদের নিয়ে করা পার্টিকেও।
‘ছক্কা মারলে লাখ লাখ মানুষকে খুশি করা যায়। তবে পার্টি করতেও ভালো লাগে। কিন্তু মাঠে নেমে আমি চাই যত বেশি সম্ভব ছক্কা মারতে। এখন বয়সও হয়েছে কিছুটা, অনেক ট্রাভেলিংয়ের ধকল আছে। এখান এসে স্রেফ একদিন অনুশীলনেই মাঠে নামার কাজটা কঠিন। তবে আমাদের এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হয়। ’ জানান চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলতে আসা গেইল।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) মিরপুর একাডেমি মাঠে চিটাগং ভাইকিংসের অনুশীলন শেষে এভাবেই ছক্কা মারার অনুভূতি ব্যক্ত করেন এই ক্যারিবিয় ব্যাটিং টর্নেডো। বিপিএলের এবারের আসরে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলতে গত শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকায় এসেছেন গেইল। শনিবারই ছিল দলের সাথে তার প্রথম অনুশীলন।
বিপিএলের এবারের আসরে এরই মধ্যে ৮টি ম্যাচ খেলেছে তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংস। তবে ব্যক্তিগত কারণে শুরু থেকে ভাইকিংসদের হয়ে মাঠ কাঁপাতে পারেননি বলে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন গেইল। তবে পরে হলেও খেলতে পেরে স্বস্তি ফিরেছে তার ক্রিকেটীয় স্বত্তায়।
রোববার (২৭ নভেম্বর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিপিএলের এবারের মিশন শুরু করবেন ক্রিস গেইল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ২৬ নভেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরপি