মিরপুর থেকে: বিপিএলে রোববারের (২৭ নভেম্বর) দ্বিতীয় ম্যাচটিতে মুখোমুখি হবে ক্রিস গেইলের চিটাগং ভাইকিংস ও শহীদ আফ্রিদীর রংপুর রাইডার্স। গেইলের নামের পাশে ‘ছক্বার মেশিন’ আর আফ্রিদীর নামের পাশে আছে ‘বুমবুম’ খ্যাতি।
২০১৩ সালে পাঁচটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট ম্যাচে খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই সফরে ক্যারিবীয় দলের সঙ্গে ছিলেন মারকুটে ক্রিস গেইলও। কিন্তু ব্যাটে হাতে দলকে প্রত্যাশিত রান এনে দিতে পারেননি। আর এই ক্ষেত্রে তার সামনে মূল প্রতিবন্ধকতাটি তৈরী করেছিলেন বাংলাদেশের হয়ে অভিষিক্ত টাইগার স্পিনার সোহাগ গাজী।
সিরিজের দুটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডেতে ‘গাজী ঘূর্ণি’তে নাকাল হতে হয়েছিল গেইলকে। পুরো সিরিজে ব্যক্তিগত ৩৫ রানের বেশি একটি রানও থলিতে পুড়তে পারেননি! বলে রাখা ভালো, টেস্টে সোহাগ গাজীর কাছে নাকানি চুবানি খাওয়া গেইল, ওয়ানডেতেও স্বরুপে জ্বলে উঠতে পারেননি মাশরাফির পেস তোপে। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তিনটিতেই মাশরাফির বলে আত্মসমর্পণ কেরে ফিরতে হয়েছিল গেইলকে।
ওই সিরিজে গেইল প্রথম ধাক্কাটি খেয়েছিলেন লাল-সবুজের হয়ে সাদা পোশাকে অভিষিক্ত বোলার সোহাগ গাজীর কাছেই। ঢাকায় সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ব্যক্তিগত ২৪ রানে গোহাগ গাজীর বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ক্রিজ ছাড়া হয়েছিলেন গেইল। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য গেইলকে পেয়েছিলেন রুবেল হোসেন।
এরপর খুলনায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে আবার সোহাগের ঘূর্ণিতে ব্যক্তিগত ২৫ রানে পরাস্ত হয়ে ইনিংসের সমাপ্তি টানতে হয়েছিল এই ছক্কার মেশিনকে। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ২০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ১০ উইকেটের বড় জয় এনে দিয়েছিলেন।
টেস্ট শেষে এল ওয়ানডে সিরিজ। যখানে প্রথমটিতেই রঙিন পোষাকে অভিষিক্ত সোহাগ গাজীর স্পিনে পরাস্ত হয়ে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছিল গেইলকে। রোববার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় সেই সোহাগ গাজীর বিপক্ষে আজ ব্যাট হাতে নামবেন গেইল। কেমন হবে গাজী-গেইলের লড়াই? ভক্তদের সেই প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ২৭ নভেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরএম