ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ইনিংস ব্যবধানে হেরে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
ইনিংস ব্যবধানে হেরে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে হেরে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আগ্রাসী ফিফটির ইনিংসে ভর করে ম্যাচের পঞ্চম দিনে লিডের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে অতিরিক্ত শট আর স্ট্রাইক পাল্টাতে গিয়ে টিকতে পারলেন না  ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। পারলো না বাংলাদেশও। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগে নিজেদের ইনিংসে ২০৯ রানে গুটিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে ১২ রানে ও ইনিংস ব্যবধানে হেরে সিরিজও খোয়ালো।

রিয়াদ যখন ক্রিজে এলেন ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। তিনি নামার পর হারিয়েছে ৩ উইকেট।

কিন্তু অপরপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে গেছেন এই ডানহাতি।  দ্রুত রান তুলেছেন। তার ৬৭ রানের ইনিংসটি দলকে লিডের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্তু ওয়েগনারের খাটো লেন্থের বলে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে মারতে গিয়ে থার্ড ম্যানে থাকা ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ধরা পড়লে শেষ হয় রিয়াদের ১২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় সাজানো ১১৬ বলের ইনিংসটি।

>>>আরও পড়ুন...প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের

ওয়েলিংটন টেস্টের পঞ্চম দিনে (১২ মার্চ) ব্যাটিং করতে নেমে কিউই পেসে বিভ্রান্ত হতে দেখা যায় টাইগারদের। বোল্টদের বিদ্যুৎ গতি আর সুইংয়ের মিশেলে হাঁসফাঁস করতে থাকেন সৌম্য-মিঠুন। আর এই চাপের মধ্যে দু’বার লাইফ পাওয়া বোল্টের অফ স্ট্যাম্পের বাইরে টাইট লাইনের বল লাফিয়ে উঠলে ডিফেন্স করতে গিয়ে দু’পা হাওয়ায় ভাসিয়ে শট নেন সৌম্য, কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। বল তার ব্যাট ছুঁয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা রস টেইলরের হাতে জমা হয়। আউট হওয়ার আগে ৫টি বাউন্ডারিতে ২৮ রান করেন সৌম্য। দলীয় ১১২ রানে দিনের প্রথম ও ইনিংসের চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

আগেরদিনের সঙ্গী সৌম্যকে খোয়ানোর পরও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু ফিফটি থেকে মাত্র ৩ রান দূরত্বে থামে তার লড়াকু ইনিংস। নেইল ওয়েগনারের শর্ট বলে স্কয়ারে উঠিয়ে মারেন মিঠুন, কিন্তু টাইমিংয়ের গড়বড় হওয়ায় বল ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে থাকা টিম সাউদির তালুবন্দি হয়। ১০৫ বলে ৪৭ রানের ইনিংসটি ৭ বাউন্ডারিতে সাজানো। তার বিদায়ের পর ওয়েগনারের দ্বিতীয় শিকার হয় ফেরেন লিটন দাস। তাইজুল ৬ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন।

তাইজুলের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মোস্তাফিজ কিছুটা সঙ্গ দেন দলপতিকে। খেলেন ক্যারিয়ার সেরা টেস্ট ইনিংস। কিন্তু তার ২২ বলে ১৬ রানের ইনিংসটি শেষ হয় দুর্বল ডিফেন্সের কারণে। বোল্টের গতি আর সুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে মিডল স্ট্যাম্প খোয়ান মোস্তাফিজ। এরপর রিয়াদের সঙ্গ দিতে আসেন শেষ ব্যাটসম্যান আবু জায়েদ। রিয়াদ তাকে স্ট্যাম্প বাঁচিয়ে খেলতে বলেন। স্ট্যাম্প মাইকে তা স্পষ্ট শোনা যায়। কিন্তু রিয়াদ নিজেই চাপের কাছে হেরে যান।  

বৃষ্টির কারণে মাত্র তিনদিনের টেস্টে পরিণত হওয়া ম্যাচটিও হেরে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খুইয়ে বসেছেন রিয়াদরা।  

বল হাতে ৪৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন কিউই পেসার ওয়েগনার। ৫২ রান খরচে ৪ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন বোল্ট।

নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো রস টেইলর নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

এর আগে বৃষ্টির কারণে দু'দিন খেলা বন্ধ থাকার পর তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের চেয়ে ১৪১ রানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। হাতে ছিল ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৪ রানেই ফেরেন আগের টানা তিন ইনিংস হাফসেঞ্চুরি করা তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত ১০ রানে ফেরেন পুরো সিরিজেই ব্যর্থ হওয়া মুমিনুল হক। অনেকটা সময় চেষ্টা করেও মাত্র ২৯ রানে ফিরে যান ওপেনার শাদমান। দিন শেষে ২৫ রানে মোহাম্মদ মিঠুন ও ১২ রানে সৌম্য সরকার অপরাজিত থাকেন।

২১১ রানেই টাইগারদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার পর রস টেইলরের ডাবল সেঞ্চুরি ও হেনরি নিকোলসের টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরির ইনিংসে ভর করে ৪৩২ রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। হাতে ৬ উইকেট রেখেই ২২১ রানের লিড পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশ সময় ০৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।