৩৫ জনের দলে সাইফউদ্দিনের নাম না থাকায় তার ভক্তরা রীতিমতো অবাক। অনেকের চোখ কপালেও উঠেছে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলাদেশের ওপর চরম ব্যথর্তার ঝড় গেছে। ইনজুরির কারণে ওই সফরের দিন দুয়েক আগে অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে দল থেকে ছিটকে পড়েন সাইফউদ্দিন।
আসছে সিরিজের প্রাথমিক দলে মাশরাফি থাকলেও নেই সাইফউদ্দিন। এতেই ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন ওঠে তবে কি ঝড়ের ছোঁয়া সাইফউদ্দিনের ওপর দিয়েও গেলো কিনা, নাকি ইনজুরি থেকে এখনও সেরে উঠেননি তিনি। এ নিয়ে ছোট্ট ধোঁয়াশা তৈরি হতে না হতেই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দেন সাইফ। ভক্তদের আশাবাদী হওয়ার মতো বার্তা দিয়ে তরুণ অলরাউন্ডার নিজেই জানান, ‘পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের কাজই খেলা। আর আমি খেলার জন্য মুখিয়েই আছি। সেজন্যে ফিট থাকাও আবশ্যক। বোর্ডের চিকিৎসকের ছক বাধা রুটিনেই ইনজুরি থেকে সেরে উঠার প্রক্রিয়া চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। আলহামদুলিল্লাহ এখন কিছুটা ভালো অনুভব করছি। ’
দীঘর্দিন কোমরের জটিল রোগে ভুগছেন সাইফউদ্দিন। বিশ্বকাপ চলাকালীন সেটি আরও বেড়ে যায়। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রস্তুতি চলাকালীন সময়ে আবারও সেটি দেখা দেয়। নিজের দীর্ঘদিনের ইনজুরির আরও উন্নত চিকিৎসার প্রক্রিয়া হিসেবে দেশের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি বিসিবি আন্তরিকভাবে তত্ত্বাবধান করছে বলেই তিনি জানান। সাইফের কণ্ঠে ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বশীলতার পরিচয়ই মিলেছে, ‘বোর্ড আমাদের সব কিছুই দেখেন। ইনজুরি কিংবা পারফরম্যান্সসহ অন্যান্য সব-ই। বিশেষ করে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নিয়েই বোর্ডের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে। আমিও বোর্ডের পরিকল্পনার মধ্যেই আছি। তাই কিছুটা ভালো অনুভব করায় আপাতত ক্যাম্পে অংশ নিতে বলেছেন নান্নু স্যার (প্রধান নির্বাচক) এবং নির্ধারিত ছক অনুযায়ীই আমার ট্রেনিং চলবে। ’
এর মধ্যে একটু একটু করে বল করতে শুরু করেছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। বিসিবি সূত্র জানা যায়, ‘কন্ডিশনিং ক্যাম্পের তালিকা তৈরি করা হয় মূলত ঈদের আগেই,তখন চিকিৎসকের রিপোর্ট অনুযায়ী সাইফকে রাখা হয়নি। এখন ঈদের পর আগের তুলনায় সাইফ উন্নতির পর্যায়ে আছে, তাই তাকে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। ’
ক্যাম্পে থাকলেও এখনই স্কিল ট্রেনিং করতে পারছেন না তিনি, সেটি নির্ভর করবে তার অবস্থার উন্নতির উপর। বিসিবি সূত্র আরও জানায়, ‘সাইফের একটি বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষার জন্য তাকে লন্ডন অথবা অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর আলোচনা চলছে, সেটি প্রক্রিয়াধীন। মূলত ওদের সিগন্যাল এর অপেক্ষায় আছি আমরা, তা না হলে চেন্নাইতো আছেই। তার সুস্থতার জন্য যেটি প্রয়োজন সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ’
উল্লেখ্য, বায়োমেকানিক্যাল এই পরীক্ষাটি ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল স্পোর্টস ইনস্টিটিউট ও অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টসে করানো হয়।
আসন্ন সিরিজে দলে থাকাটা শতভাগ স্পষ্ট না হলেও সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে উদগ্রীব সাইফ। বিগত পারফরম্যান্সের হালখাতার ভিত্তিতে তাকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। বাকি রইলো ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়া। সেটিও উতরে যাবেন আত্মপ্রত্যয়ী এই তরুণ; এমন প্রত্যাশা করা যেতেই পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এমএমইউ