ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আইআইইউসিতে সেমিনার 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
আইআইইউসিতে সেমিনার  ...

চট্টগ্রাম: আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) কম্পিউটার অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিসিই ক্লাব এবং সিসিই ক্লাব ফিমেল চ্যাপ্টারের যৌথ আয়োজনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘পুরো বিশ্বে কম্পিউটার অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং বিগ ডাটার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ।

 

বিশেষ অতিথি ছিলেন আইআইইউসির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য ও ফিমেইল একাডেমিক জোনের চেয়ারম্যান মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মছরুরুল মওলা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং রেজিস্ট্রার এ এফ এম আকতারুজ্জামান কায়সার।  

সিসিই ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মো. রাজু আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারের প্রধান বক্তা ছিলেন আইআইইউসির এলামনাই সিসিই ৪র্থ ব্যাচ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উসং ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব এ আই অ্যান্ড বিগ ডাটা এর প্রফেসর ড. জিয়া উদ্দীন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তা ছিলেন জাপানের ইউনিভার্সিটি অব আইযু এর স্কুল অব কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রফেসর ড. জাংপিল শিন।  

সেমিনারের বিশেষ অতিথি মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষার্থীদের এ-আই ও বিগ ডাটা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে ও গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে নিতে খ্যাতিমান গবেষকদের নিয়ে এ ধরনের সেমিনার, ওয়ার্কশপ আয়োজন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি উদ্বুদ্ধ করার জন্য আহ্বান জানান।  

সেমিনারের প্রধান বক্তা ড. জিয়া উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল ভোগ করার এটাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। জ্ঞানভিত্তিক এ শিল্প বিপ্লবে প্রাকৃতিক সম্পদের চেয়ে দক্ষ মানবসম্পদই হবে বেশি মূল্যবান। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিপুল পরিমাণ মানুষ চাকরি হারালেও এর বিপরীতে সৃষ্টি হবে নতুন ধারার নানা কর্মক্ষেত্র। নতুন যুগের এসব চাকরির জন্য প্রয়োজন উঁচু স্তরের কারিগরি দক্ষতা। ডাটা সায়েন্টিস্ট, আইওটি এক্সপার্ট, রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারের মতো আগামি দিনের চাকরিগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী তরুণ জনগোষ্ঠী। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনাটাও একান্ত জরুরি।

‘প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য টিচিং অ্যান্ড লার্নিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গ্র্যাজুয়েট তৈরি করার জন্য স্কিল বিষয়ে নিজেরা প্রশিক্ষিত হবেন। শিক্ষার্থীদের প্রচলিত প্রশ্নোত্তর থেকে বের করে এনে তাদের কেস স্টাডি, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রজেক্ট ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষকদের মূল বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষানবিশী কার্যক্রম বাধ্যতামূলক করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি বাস্তব জীবনের কার্যক্রম সম্পর্ক হাতে-কলমে শিখতে পারেন’।  

সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসির উপাচার্য প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য এআই ও বিগ ডাটা গুরুত্ব অপরিহার্য ব্যক্ত করে এআই ও বিগ ডাটা নিয়ে গবেষণার করার জন্য আহ্বান জানান।  

সেমিনারে প্রধান বক্তা ড. জিয়া উদ্দীনকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উপাচার্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।