চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এক প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্যের কার্যালয় ভাংচুর করেন দলটির অনুসারীরা। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মাহবুব হারুন চৌধুরী।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি মাননীয় উপাচার্য দফতরে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুপারিশসহ প্রতিবেদন পেশ করার জন্য মাননীয় উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
তদন্ত কমিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলামকে আহ্বায়ক, আইন বিভাগের অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহাকে সদস্য ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর হাসান মোহাম্মদ রোমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে চবি উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাংচুর করে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ একাকারের অনুসারীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় অচল করতে চবির প্রধান পরিবহন শাটল ট্রেনও বন্ধ করে দেন তারা।
ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী রাইয়ান আহমেদ নামে একজন সদস্য শিক্ষক নিয়োগ প্রার্থী ছিলেন। তবে তিনি মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় বাদ পড়েছেন। নিয়োগ বোর্ডে সুপারিশপ্রাপ্তদের বিষয়টি গোপন থাকায় সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিলেন ছাত্রলীগের অনুসারীরা। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪১তম সিন্ডিকেট সভায় বিভিন্ন বিভাগের সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নিয়োগ অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে উপাচার্যের কার্যালয়ের বাইরে ভাংচুর করেন ছাত্রলীগের অনুসারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
এমএ/টিসি