চট্টগ্রাম: একটি জ্ঞানী ও সমৃদ্ধ জাতি গড়ে ওঠে তার পাঠ্যাভ্যাসের মধ্য দিয়ে। বিশ্বের উন্নত জাতিগুলোর দিকে তাকালেই দেখা যাবে, ঈর্ষণীয় মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি রয়েছে তাদের।
গ্রন্থাগার হলো কালান্তরের সকল গ্রন্থের মহাসম্মেলন। যেখানে এক হয়ে গেছে অতীত আর বর্তমান। সন্ধানী হৃদয় গ্রন্থাগারে অতীত-বর্তমানের সাথে ভবিষ্যতের সেতু রচনা করে। একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, একটি জাতির উন্নতির সোপান।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান।
এ বছর ‘স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উদযাপিত হচ্ছে দিবসটি। এ সভা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ১১টায় বেলুন উড়িয়ে দিবস উপলক্ষে গৃহিত কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, ই-লাইব্রেরির দিকে ঝুঁকছে বর্তমান বিশ্ব। বইও এখন আর কাগজে-মলাটে সীমাবদ্ধ নেই। ই-বুক চলে এসেছে মুঠোফোন-কম্পিউটারের স্ক্রিনে। এ থেকেই বুঝা যায়- যতো দিন যাচ্ছে, মানুষের পাঠ-চাহিদাও তত বাড়ছে। আমাদের দেশেও তাই সাধারণ গ্রন্থাগারগুলোর আধুনিকায়ন জরুরি।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, পাঠ্যবইয়ের বাইরে যে জ্ঞানের বিশাল দুনিয়া রয়েছে, তার সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচিত করার লক্ষ্যে গঠিত আমাদের প্রায় কয়েক হাজার বইয়ে সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে রয়েছে দেশ-বিদেশের নানা মনীষীর রচিত গ্রন্থ। উন্নত জীবনের জন্য জ্ঞান এবং জ্ঞানের জন্য পাঠ্যাভ্যাস আবশ্যক, এই আপ্তবাক্যকে মনে-প্রাণে ধারণ করেই এগিয়ে চলছে ইডিইউ।
ইডিইউর গ্রন্থাগারকে কিভাবে আরো উন্নত করা যেতে পারে, তা নিয়ে কথা হয়। এছাড়া দিবস উপলক্ষে ইস্ট ডেল্টার গ্রন্থাগারের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিজয়ী ৩ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সভা শেষে।
তাহমিনা আফ্রাদ শর্মীর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার সামস-উদ-দোহা, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অনন্যা নন্দীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ও শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এমআই/টিসি