চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: সাহিত্য কর্ম করতে হলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। তাই অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি এত ব্যস্ততার মাঝে কিভাবে মানুষের সঙ্গে মিশি, কিভাবে সাহিত্য চর্চা করি?
আমি বলি- আমার জীবনে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীকে পড়িয়েছি।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ক্যারিয়ার ক্লাবের আয়োজনে ‘রোড টু বিসিএস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, পড়াশোনা শেষে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুলে গেলে হবে না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান না কেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়কে মনে-প্রাণে ধারণ করবেন। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক যোগ্য। বিসিএস ক্যাডার খুব কম লোকই হতে পারে৷ কিন্তু বিসিএস ক্যাডার হতে পারেননি বলে বসে থাকা যাবে না। দেশে আরও অনেক জায়গা আছে যেখানে আপনারা নিজেদের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে পারবেন।
চবি উপাচার্য আরও বলেন, আমার জীবনে যা করে যেতে পারিনি, আমি চাই আমার শিক্ষার্থীরা যেন তা করে যেতে পারেন৷ আমি যদি আমার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের জন্য কিছু করে যেতে পারি সেটাই হবে আমার জীবনের স্বার্থকতা।
সেমিনারে প্রধান আলোচক চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, মানুষের জীবন ছোট। এ ছোট্ট জীবনে আমাদের এমন কিছু করে যেতে হবে যাতে করে সমাজ এবং ইতিহাস আমাদের মনে রাখে। সমাজ এবং দেশের জন্য অবদান রাখার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো বিসিএস। কিন্তু বিসিএসই আমাদের জীবনের মূল ভিশন হতে পারে না। আমাদের মূল ভিশন হতে হবে- যে সমাজে আমি জন্মেছি, যে সমাজ আমাকে গড়ে তুলেছে তাকে এক পা হলেও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এবং কার্যনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খিসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান, উপ কর কমিশনার আব্দুল্লাহ ইউসুফ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি শাহরিয়ার আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন চবি ক্যারিয়ার ক্লাবের মডারেটর আফজালুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এমএ/টিসি