ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে সিলেটের মেয়র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
চট্টগ্রামে সিলেটের মেয়র ...

চট্টগ্রাম: নাগরিক সেবার মান বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্মার্ট বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।  

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়ছেন তা বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে নিজস্ব আয় দিয়ে ব্যয় নির্বাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্মার্ট হতে হবে।

চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নগরের ক্রমবর্ধমান জনগণের জন্য সেবার মান বাড়াতে প্রযুক্তিনির্ভর বিনিয়োগে জোর দিচ্ছি। বিশেষ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরে কাজ করছি। পাশাপাশি কর আদায় প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজ করার মাধ্যমে কর আদায়ের পরিমাণ বাড়িয়ে চসিককে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছি।

দেশে একমাত্র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। সুশিক্ষা আর সুস্বাস্থ্য অর্জন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ জন্য চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পাবার অধিকার বাস্তবায়নে লড়ছি। বর্তমানে চসিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়ছে আর চসিক পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গত বছর সাড়ে আট লাখ নাগরিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, চসিকের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে চসিক মেয়রের যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তা সত্যিই প্রশংসনীয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অভিজ্ঞতা আমি সিলেটের উন্নয়নে কাজে লাগাবো।

এ সময় উপিস্থিত ছিলেন চসিক প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা  কালাম, কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু), হাসান মুরাদ  বিপ্লব, আবদুস সালাম মাসুম, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মাহাম্মদ আবুল হাশেম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী (টিপু), স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।