চট্টগ্রাম: নগরের হালিশহর এলাকার রেলওয়ে গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) এলাকায় একটি ট্রেনের তেলবাহী ওয়াগন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন রেলওয়ে মহাপরিচালক (ডিজি) প্রকৌশলী মো. কামরুল আহসান।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় রেলওয়ে মহাপরিচালক (ডিজি) প্রকৌশলী মো. কামরুল আহসান বলেন, রেল দুর্ঘটনারোধে সকলকে সর্তক হতে হবে। যদি কেউ দায়িত্ব অবহেলায় করে এবং তার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরের হালিশহর এলাকার রেলওয়ে গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) এলাকায় একটি ট্রেনের তেলবাহী তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। দুটি ওয়াগন থেকে তেল পড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার লিটার তেল পড়ে যায় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ওয়াগনবাহী ট্রেনটি সেখানে লাইনুচ্যত হয় তার পাশেই ইয়ার্ডের নালা। লাইনচ্যুত হওয়া ওয়াগনগুলো থেকে তেল সরাসরি ওই নালায় গিয়ে পড়েছে। এই নালাটির পাশেই মহেশখালের শাখা। ওই শাখাটি বেসরকারি ইসহাকের ডিপোর পার্শ্ববর্তী এলাকায় গিয়ে পড়েছে। মহেশখাল থেকে কর্ণফুলী নদীতে পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের দুটি টিম মহেশখালের বন্ধ থাকা স্লুইস গেটের দুই পাশ থেকেই পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে। তারা নদীর পানিতেও খালি চোখে কিছু তেলের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন।
পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক মো. মনির বাংলানিউজকে বলেন, মহেশখাল যেখানে কর্ণফুলী নদীতে মিশেছে সে স্লুইস গেটটি দুইদিন ধরে। কর্ণফুলী নদী আর মহেশখাল যেখানে মিলেছে সেখান, ১৪ ও ১৫ নাম্বার ঘাট থেকে নমুনা নিয়েছি। এছাড়াও আর তিন জায়গা থেকে নিয়েছি। নমুনা পরীক্ষা শেষে বলা যাবে তেল নদীতে ছড়িয়েছে কি-না।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি১৭, ২০২৩
বিই/পিডি/টিসি