ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০৩ ফুট লম্বা কেক কাটলেন মনজুর আলম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
১০৩ ফুট লম্বা কেক কাটলেন মনজুর আলম

চট্টগ্রাম: ১০৩ ফুট লম্বা কেক কেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছেন চসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। কেকটি প্রস্থে ছিল ২০ ইঞ্চি।

 

শুক্রবার (১৭ মার্চ) কাট্টলী রাসমনি ঘাটের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, স্কাউট, গাইড, রোভার, রেঞ্জার, বিএনসিসি, যুব রেড ক্রিসেন্ট ও শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ, কেক কাটা, শিশু সমাবেশ, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, ১০ বিশিষ্ট গুণীজনকে সংবর্ধনা এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ওপর গান ও কবিতা প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, সাতই মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে সাবেক মেয়র মনজুর আলম অতিথিদের নিয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ১০৩ জন শিশু শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে ১০৩ ফুট লম্বা জন্মদিনের কেট কাটেন এবং মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

পরে তিনি শিশু সমাবেশ, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও বঙ্গবন্ধুর জীবন শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে সংবর্ধিত ১০ জন গুণীজন হলেন শিক্ষায়- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, ধর্মীয় ও মাদ্রাসা শিক্ষায় (মরণোত্তর) জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা জালাল উদ্দিন আলকাদেরী, চিকিৎসায় বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এমএ ওয়াহেদ, স্থাপত্য শিল্পে- স্থপতি বিধান বড়ুয়া, অবকাঠামো উন্নয়নে- গণপূর্ত বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হান, সাহিত্যে- বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত ছড়াকার রাশেদ রউফ, নারী শিক্ষায়- এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তহুরীন সবুর ডালিয়া, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষায়  খান সাহেব আবদুল হাকিম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিক আহমেদ, প্রাথমিক স্তরে শিক্ষায়- নুরুল হক চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মজুমদার।  

সভাপতির বক্তব্যে মনজুর আলম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির দূত এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি। তাঁকে নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক কাম্য নয়। তিনি না হলে বাঙালি নামক কোনো জাতি একটি রাষ্ট্র পৃথিবীর বুকে স্থান পেত না।  

তিনি বলেন, আমি বেঁচে থাকলে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে প্রতিবছর এক ফুট করে কেকের পরিমাণ বৃদ্ধি করে কাটা হবে। তিনি জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে সবাইকে দেশপ্রেমিক হওয়ার আহবান জানান।  

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন জাতি।  বঙ্গবন্ধুকে যারা বিতর্কিত করার চেষ্টা করেন তারা জ্ঞানপাপী।  

তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের জীবন গড়ে তোলার আহবান জানান।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রাস্টি তরুণ সমাজসেবক মোহাম্মদ সাইফুল আলম।  

আলোচনা করেন সাবেক কমিশনার সিরাজুল ইসলাম, মোস্তফা হাকিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর, তাহের মনজুর কলেজের অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, সাবেক উপাধ্যক্ষ বাদশা আলম, এমএইচ কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজুল হক চৌধুরী, শিক্ষক আবু ছগির, মাহবুবুর রহমান, লায়লা নাজনিন রব ও বিকাশ কুমার মজুমদার ও আবদুস ছাত্তার মজুমদার প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।