ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতের চলচ্চিত্র বিশ্ব সমাদৃত: ডা. রাজীব রঞ্জন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
ভারতের চলচ্চিত্র বিশ্ব সমাদৃত: ডা. রাজীব রঞ্জন ...

চট্টগ্রাম: নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে শেষ হলো ‘ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩’। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ভারতের তিনটি আলোচিত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।

ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত তিনটি চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি অস্কার পুরস্কার পাওয়া ‘নাটু নাটু’ গানের সিনেমা ‘আরআরআর’। এছাড়া ‘বেলা শুরু’ এবং ‘৮৩’ নামের দুটি চলচ্চিত্রও প্রদর্শিত হয়।

উৎসবের আমেজে এসব চলচ্চিত্র দেখতে থিয়েটার ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়াম হল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, ভারতের চলচ্চিত্র বিশ্ব সমাদৃত। ভারতীয় সিনেমা ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রচারের অন্যতম কার্যকরী হাতিয়ার। ভারতীয় সিনেমা সেটা হোক হিন্দি, বাংলা, মালইলাম, তামিল বা যেকোনো আঞ্চলিক ভাষার। তা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং আমাদের জনগণের মধ্যে বন্ধন ও বন্ধুত্ব তৈরি করতে সাহায্য করছে। এই মুহূর্তে আমরা একটি স্বর্ণালী যুগ অতিক্রম করছি, দুই দেশের জনগণের মধ্যে আরও বেশি সাংস্কৃতিক সম্প্রসারণ করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আর এই চলচ্চিত্র উৎসব সেই নির্লোভ লক্ষ্যেরই পথ।

‘১৯৮০ এবং ১৯৯০ সালে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে কিছু কারণে এই ধারা বন্ধ হয়ে যায়। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার একটি সিনেমা যার নাম ‘মনের মানুষের কথা’ আমি বলতে চাই। ছবিটি লালন ফকির শাহজির জীবনী অবলম্বনে নির্মিত। লালন ফকির শাহজি একাধারে বিশিষ্ট বাঙালি আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, দার্শনিক, মরমী কবি এবং সমাজসেবক ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন। ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক আইকনদের মধ্যে তিনি অন্যতম’।

ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, আমি বাংলা সিনেমার দিকেও দৃষ্টিপাত করতে চাই। বাংলা সিনেমা আর্ট ফিল্মের মতো কিছু চমৎকার কাজের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত, সমাদৃত। সত্যজিৎ রায়ের মতো বেশ কয়েকজন নির্মাতা তাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের বিশেষত্বের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিতও হয়েছেন। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’ সেরা মানবিক তথ্যচিত্রের পুরস্কার পাওয়ার পর এটি এই মহাদেশের চলচ্চিত্র ও নির্মাতাদের বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।

প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসব উদ্বোধনের পর ডা. রাজীব রঞ্জন ও উপস্থিত অতিথিরা অস্কার পুরস্কারপ্রাপ্ত বিখ্যাত সিনেমা ‘আরআরআর’ উপভোগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।