ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘দেশকে নিরাপদ ও শত্রুমুক্ত করতে ১৪ দল মাঠে নেমেছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
‘দেশকে নিরাপদ ও শত্রুমুক্ত করতে ১৪ দল মাঠে নেমেছে’ ...

চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও  চট্টগ্রামের ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ১৪ দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র সুরক্ষা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা আবার মাঠে নেমেছি বাংলাদেশকে নিরাপদ ও শত্রুমুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয়ে।

এই প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনকে একই সূত্রে বাঁধতে হবে। ১৪ দল চট্টগ্রামের ১৫টি থানা ও ৪১টি ওয়ার্ডে প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক চেতনার সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে একই মঞ্চে দাঁড় করানোর জন্য কাজ শুরু করে দিতে হবে।
 

বুধবার (৩১ মে)  বিকেলে জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

সুজন বলেন, কোনো পরাশক্তির নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ পরাভব মানেনি, মানবে না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যখন নজিরবিহীন গণহত্যা চলেছিল, তাকে মদদ দিয়েছিল যে দেশটি এবং ১৯৭৪ সালে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির নীলনকশাকারী সেই দেশটিকে আমরা চিনি ও জানি। ঐ দেশটিতে এখন অর্থনৈতিক খরা চলছে। আমরা চাই না আমাদের দেশের রাজনীতি, সমাজনীতি ও অর্থনীতি কি রকম হবে তা নিয়ে তাদের কোনো প্রেসক্রিপশনের দরকার নেই।  

গণসমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, একটি দলের আদর্শ-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী। এই সৃশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী দলের শক্তি ও ঐক্যের ভিত্তি। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করি আমাদের প্রধান টার্গেট হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অপশক্তিকে বিনাশ করা।  

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জসিমুদ্দিন বাবুল বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার একটি কুখ্যাত কালো বাজারি ও সন্ত্রাসী লুৎফুর রহমান বাবরকে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তারই নেতৃত্বে এদেশে অনাচার ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। এমনকি শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টাও হয়েছে। একারণে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি যদি আবার ক্ষমতায় না আসে এদেশ পাকিস্তান হয়ে যেতে পারে।  

চট্টগ্রাম জেলা ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও জেলা আইনজীবী পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হানিফ বলেন, আমরা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দায়বদ্ধতায় একই মঞ্চে সমবেত হয়েছি। এই জোট কোন নির্বাচনমুখী জোট নয়। এই জোট স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করতে একটি মুক্তমঞ্চ।  

ওয়ার্কাস পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাম্যবাদী দলের অমূল্য বড়ুয়া, গণ আজাদী লীগের নজরুল ইসলাম আশরাফি, ন্যাপ মোজাফ্ফরের ফয়েজ উল্লাহ মজুমদার, গণআজাদী লীগের খোরশেদ আলম, জেপির ডা. বেলাল মৃধা, ও গণতন্ত্রী পার্টির  স্বপন সেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।