ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে দুর্ভোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে দুর্ভোগ ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টির দেখা পাচ্ছে নগরবাসী। শুক্রবার (৯ জুন) থেকে থেমে থেমে কখনও ভারি আবার কখনও মাঝারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে শনিবারও (১০ জুন)।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়, শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২২ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।  

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করতে পারে। এর ফলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। এ প্রবণতা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

গত সপ্তাহের তীব্র গরমের পর এই বৃষ্টি নগরজীবনে স্বস্তি দিয়েছে। অপরদিকে গত দুইদিনের বৃষ্টিতে নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। বর্জ্যে ভর্তি খাল-নালা দিয়ে পানি নামতে পারছে না। বৃষ্টিতে নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, ওয়াসা মোড়, কাতালগঞ্জ, ষোলশহর, চকবাজার, বাকলিয়া, শুলকবহর, কাপাসগোলা ও পাঠানটুলিসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যাচ্ছে।

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রকল্পটির সিংহভাগ বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি এক সভায় প্রকল্পের কাজ ৭৬ দশমিক ২৫ শতাংশ শেষ হওয়ার দাবি করেছে সংস্থাটি।  

চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, প্রকল্পের বাইরে নালাগুলো পরিষ্কারের কাজ চলছে। ৪১টি ওয়ার্ডজুড়ে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ভাড়ায় জনবল নিয়োগ করে নালা ও ছোট নালা থেকে মাটি তোলা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষ দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। এ জন্য ওয়ার্ডগুলোতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রকৌশল বিভাগের অধীনে টেন্ডারের মাধ্যমে খাল-নালা পরিষ্কারের কাজ চলছে। একইসাথে ৬টি স্কেভেটর একযোগে নালা পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।