ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবিতে সাংবাদিক হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি সিইউজেএনের

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
চবিতে সাংবাদিক হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি সিইউজেএনের ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দোস্ত মোহাম্মদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চিটাগং ইউনিভার্সিটি এক্স জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক (সিইউজেএন)।  

বুধবার (২১ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে সিইউজেএন এর সভাপতি হামিদ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ  হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে সিইউজেএন নেতারা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি গত সোমবার (১৯ জুন) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনে একটি চায়ের দোকানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ ও উপ-দপ্তর সম্পাদক আরাফাত রায়হানসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগের কর্মী চবিসাসের সদস্য ও অনলাইন পোর্টাল ঢাকা স্টেটের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী দোস্ত মোহাম্মদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। এসময় সিনিয়র পরিচয় দিলে গরম চা এবং চায়ের কাপ ছুঁড়ে আঘাত এবং সাংবাদিক পরিচয় জানার পর বেল্ট দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে, পেটে লাথিসহ এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মেরে দোস্ত মোহাম্মদকে হত্যারচেষ্টা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

দোস্ত মোহাম্মদ আগে থেকেই কিডনিসহ নানা শারিরীক জটিলতায় ভুগছেন। পেটে লাথি মারায় দোস্ত মোহাম্মদের কিডনি রোগের জটিলতা আরও বেড়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন আছেন।

অকারণে বিশ্ববিদ্যালযের একজন ছাত্রকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হলো। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার তিনদিন হতে চললেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। জানতে পেরেছি হামলাকারীরা এখনো হলেই অবস্থান করছেন। সময়ক্ষেপনের মাধ্যমে প্রশাসন কি অতীতের মতো এ ঘটনাকেও আড়াল করতে চায়, সেটাই আমাদের প্রশ্ন।

বিবৃতিতে চবিসাসের সাবেক নেতারা আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি প্রধান অভিযুক্ত চবি ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ (আইন, ২০১৭-১৮) এর আগে ২০২১ সালেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার হয়েছিলেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগও উঠে। আরেক অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আরাফাত রায়হানের (সমাজতত্ত্ব, ২০১৮-১৯) বিরুদ্ধেও বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আমরা মনে করি অস্থায়ী বহিষ্কারের নামে দায়সারা শাস্তি দিয়ে তাদের আরও প্রশ্রয় দেয়া হয়েছিল। আমরা আর অস্থায়ী বহিষ্কারের নাটক চাই না।

সংগঠনটি নেতাদের দাবি, ক্যাম্পাসে সাংবাদিক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে আমরা আশাবাদী। এর আগে চবি সংবাদিক সমিতির সদস্য দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আক্তারের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজ থাকার পরও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা একই সঙ্গে সেই ঘটনায় জড়িতদেরও শাস্তি দাবি করছি। আমরা আশাকরি চবি সাংবাদিক সমিতির বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।