ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কম দামি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি খুচরায়

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৪
কম দামি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি খুচরায় ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: কমদামি পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ছে। বাদামি রঙের বড় আকারের চীনা পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা।

একসময় খাবারের হোটেলগুলোর জন্য এসব পেঁয়াজ বেশি কিনলেও এখন গৃহস্থরাও কিনছেন। পেঁয়াজের বস্তা থেকে বড়, মাঝারি, ছোট আকারের পেঁয়াজ আলাদা করা করে খুচরায় বিক্রি হয় বিভিন্ন দামে।
এর মধ্যে ছোট আকারের পেঁয়াজের দামে কম হওয়ায় চাহিদা বেশি মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নগরের ডিসি হিল এলাকায় রিকশাভ্যানে তিন ধরনের পেঁয়াজসহ আদা রসুন বিক্রি করছিলেন আবদুর রহিম। দেশি পেঁয়াজের ঝাঁজ যেমন বেশি দামও বেশি, খুচরায় প্রতিকেজি ১৪৫ টাকা। ভারতের পেঁয়াজ ১০৫ টাকা। সাদা পেঁয়াজ ৭০ টাকা।  

তিনি বলেন, মানুষ সস্তায় পেঁয়াজ চায়। চট্টগ্রামের মানুষের পছন্দের শীর্ষে ভারতীয় পেঁয়াজ। তবে দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে বিক্রি কম। এখন ভালো পেঁয়াজ হাফ কেজির বেশি কেনে না তেমন। কিন্তু বড় পেঁয়াজগুলো বেশি পরিমাণে কিনছে।  

স্কুলপড়ুয়া সন্তান নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন গৃহিণী তাসলিমা আকতার। তিনি বলেন, দোকানে পেঁয়াজের দাম বেশি। ফুটপাতে বা রিকশাভ্যানে কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। বড় আকারের পেঁয়াজগুলো ঝাঁজ কম হলেও দাম কম হওয়ায় কিনছি।  

নগরের কাজীর দেউড়ি বাজারে খুচরায় মান ও আকার ভেদে ভারতের পেঁয়াজ ১০৫-১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা।  

দেশে ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেঁয়াজের সংকট প্রকট হলে চট্টগ্রামের আমদানিকারকরা পাকিস্তান, চীন, মিশর, মিয়ানমার, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কমদামি পেঁয়াজ নিয়ে আসেন। বরাবরের মতো এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজ ঢুকছে খাতুনগঞ্জে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় এসব পেঁয়াজ কম লাভে বেচে দিচ্ছেন আমদানিকারকরা।  

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে সুবিধা দিচ্ছে। তার প্রভাব পড়বে বাজারে। বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজও আসছে।  

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ভারতের পেঁয়াজ মান ও আকার ভেদে ৮৫ টাকা থেকে ১০২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। মিশরের পেঁয়াজ ৬৫ টাকা বিক্রি হয়েছে।  

মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকার বাজারে এটি ৮৫-৯০ টাকা বিক্রি হয়েছে পাইকারিতে।  

একজন আড়তদার বাংলানিউজকে বলেন, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৭ লাখ টন। এর মধ্যে চার ভাগের প্রায় তিন ভাগই দেশে উৎপাদিত হয়। চাষিদের প্রণোদনার মাধ্যমে আবাদ বাড়ানোর পাশাপাশি পেঁয়াজের ভালো জাত এবং আগাম জাত নির্বাচন, সংরক্ষণ পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়েও ভাবতে হবে।   

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, এ সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিশর, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও চীনের ৪৫৯ টন পেঁয়াজ ঢুকেছে। গত অক্টোবরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৫৬২ টন।  

তিনি জানান, জাহাজে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে আমদানি করা পেঁয়াজ আমরা দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দিচ্ছি, যাতে সাপ্লাইচেনে বিঘ্ন না ঘটে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।