চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, দেশের জনগণ ফ্যাসিবাদের বিকল্প হিসেবে ইসলামী দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। ইসলামই একমাত্র শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে পারে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিআইএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা মজলিসে শুরার সাধারণ অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য জননেতা আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শুরা অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টীম সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ।
এতে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, সহকারী সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকারিয়া, ড. ছাবের আহমদ, অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, এডভোকেট আবু নাছের, সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা নুরুল হোসাইন ও অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান প্রমূখ জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার বিদেশে বসে একের পর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে পুনরায় ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। সর্বশেষ সন্ত্রাস ও জঙ্গি সংগঠন ইসকন কর্তৃক নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন সরকারী কৌঁসুলি আইনজীবী শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফ। এদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড একেক সময় একেক রকমে চালাতে পারে। তাই জনগণ সহ সকলকে সতর্কাবস্থায় চলতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার এ আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে জামায়াতে ইসলামী সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব তৈরি করে যাচ্ছে। অতীতে যারাই যখন ক্ষমতায় ছিল তাঁরাই দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা এক আল্লাহকে ভয় করে। রাষ্ট্রীয় সম্পদকে জনগণের সম্পদ মনে করে। তাই জনগনের বিশ্বাস, জামায়াতের দায়িত্বশীলগণ জনগণের সম্পদ লুট করে না এবং করবেও না।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, পতিত স্বৈরাচার যতই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করুক, দেশের জনগণ তা রুখে দিতে প্রস্তুত। এজন্য প্রয়োজনে নিজের জীবন দিতেও কুন্ঠাবোধ করে না। আমাদের লোহাগাড়ার শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফ সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। সন্ত্রাসী কোন কার্যক্রম এদেশে চলতে পারে না। শহীদি এ ময়দানের দায়িত্বশীলগণকে জনগণের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠতে হবে। কেন্দ্রের নির্দেশনার আলোকে এ ময়দান পরিচালিত হলে দেশের উৎকৃষ্ট জেলা হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
জেলা আমির নবনির্বাচিত মজলিসে শুরার সাথে পরামর্শ করে ২০২৫-২৬ কার্যকালের জন্য জেলা সেক্রেটারি ও কর্মপরিষদ গঠন করেন। এতে জেলা সেক্রেটারি হিসেবে অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, সহকারী সেক্রেটারি হিসেবে মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবু নাছের, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল হোসাইন ও অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান মনোনীত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি