ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে জিইসির র‌্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে জিইসির র‌্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্প নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবি জানিয়েছে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম নামে একটি সংগঠন।  

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংগঠনটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, বিগত সরকারের আমলে চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি মেগাপ্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, যার মধ্যে অন্যতম লালখানবাজার-পতেঙ্গা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। শুরু থেকেই বিতর্কিত এই প্রকল্পটি বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনদের মতামত এবং জনস্বার্থ উপেক্ষা করে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থে বাস্তবায়ন করা হয়।

পরিবর্তিত সময়ে এই এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প স্থাপন নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। সবশেষে বিতর্কিত বেশ কয়েকটি র‍্যাম্প প্রকল্প থেকে সাময়িক বাদ দেওয়া হলেও বাওয়া স্কুল ও জিইসি জংশনের মাঝে হোটেল পেনিনসুলার সামনে থেকে প্রস্তাবিত র‍্যাম্পটি বাদ দেওয়া হয়নি।  

অপরিকল্পিত ও ব্যক্তিস্বার্থে নির্মাণাধীন এই র‍্যাম্পের বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিক সমাজ প্রতিবাদ করার পরও এর নির্মাণকাজ বন্ধ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।  

সুভাষ চন্দ্র আরও বলেন, “বাওয়া স্কুল ও জিইসি জংশনের মাঝে যে র‍্যাম্প নির্মাণের কাজ চলছে জনস্বার্থে তা বন্ধ করা অপরিহার্য। কারণ, এই জায়গা এমনিতেই অত্যন্ত যানজট প্রবণ এলাকা। প্রতিদিন এখানে সকাল থেকেই রাত ৯-১০টা পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে। এখানে নতুন র‍্যাম্প করলে মূল সড়কের প্রশস্ততা কমে গিয়ে জিইসি জংশনের যানজট বেড়ে যাবে। পাশাপাশি এম এম আলি সড়ক জংশন, ওয়াসা এবং লালখান বাজার মোড়ে যানজটের তীব্রতা বেড়ে যাবে।  

যে সকল জায়গায় র‍্যাম্প বানানো হচ্ছে সেখানে নিচের মূল সড়কের প্রশস্ততা কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে অগ্রাধিকার ভিত্তিক গণপরিবহন সিস্টেম বা র‍্যাপিড বাস ট্রানজিট চালু করা কঠিন হবে এবং বন্দরের ভারী যানবাহন চলচলেও প্রচণ্ড বাধা সৃষ্টি করবে বলে মত দেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সচেতন ফোরামের সদস্যরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।