ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আড়তে পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কমছে খুচরায়ও

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪
আড়তে পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কমছে খুচরায়ও ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: কমছে পেঁয়াজের দাম। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ভোক্তারা।

তারা বলছেন, পেঁয়াজ পাতা, ফুলকার সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের চাহিদা কমবে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।
 

দেশের অন্যতম বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মান ও আকার ভেদে ৭০-৭৮ টাকা বিক্রি হয়েছে। খুচরায় আকারে বড় ও ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯০ টাকা। কয়েকদিন আগেও এ পেঁয়াজ বিক্রি হতো ১০০ টাকা।  

কমদামে পেঁয়াজ কিনতে পেরে খুশি রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ রসুন আদা ফেরি করা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আড়তের সামনেই তিনটি রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ বাছাই করছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। দেশে যখন ভারত থেকে বেশি পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকে তখন আড়তেও দাম কমে যায়। আজ দেখলাম দাম কমে গেছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনেছি ৭৫ টাকায়। অনায়াসে এ পেঁয়াজ ৯০ টাকা বিক্রি করতে পারবো। পচা-গলা পেঁয়াজ বাদ দিলেও মোটামুটি লাভ থাকবে।  

৯৫ নম্বর খাতুনগঞ্জের ঠিকানায় আছে মেসার্স মোহাম্মদীয়া বাণিজ্যালয়। বেলা দেড়টার দিকে এ আড়তের মূল্যতালিকায় ছিল প্রতিকেজি ভারতের সাউথ ও নাসিক পেঁয়াজ ৭৫-৭৮ টাকা। তুর্কি পেঁয়াজ ৭৩-৭৪ টাকা কেজি। কেরালার আদা ৭৫-৭৮ টাকা, দেশি শুকনা রসুন ২১-২২০ টাকা।  

একজন আড়তদার বাংলানিউজকে জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করেন স্থলবন্দর কেন্দ্রিক বেপারিরা। তারা ট্রাকে ট্রাকে পেঁয়াজ আড়তে পাঠান এবং মোবাইল ফোনে দাম জানিয়ে দেন। আড়তদার বিক্রির পর কমিশন রেখে বাকি টাকা ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন।  

সূত্র জানায়, শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অন্তত ৪০ ট্রাকে ১ হাজার ১৭১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েও নিয়মিত আসছে তুরস্ক ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ। সব মিলে সরবরাহ ভালো পেঁয়াজের।  

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদউল্লাহ মার্কেট। এ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে জানান, রোববার (৮ ডিসেম্বর) খাতুনগঞ্জে মান ও আকার ভেদে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০-৭৮ টাকা বিক্রি হয়েছে। স্থলবন্দর থেকে ৫-৬ টাকা বেশি হয় খাতুনগঞ্জে। বাজারে সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমবে এটা স্বাভাবিক। তাছাড়া পচনশীল পণ্য হওয়ায় পেঁয়াজ বেশিদিন মজুদ করা যায় না।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আশাকরি জানুয়ারিতে পাবনা ফরিদপুরের দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে। পেঁয়াজ পাতা, ফুলকার সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়ে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।