কক্সবাজার: মেগা বীচ কার্নিভালকে সামনে রেখে দরিয়ানগর কক্সবাজার সেজেছে বর্ণিল সাজে। আলোর বানে অপরূপ হয়ে উঠেছে প্রতিটি ভবন।
সন্ধ্যার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান নয় এমন শর্ত মেনেই বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে শুরু হচ্ছে মেগা বীচ কার্নিভাল।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে শুরু হবে কার্নিভাল। র্যালিটি সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে কার্নিভালের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সমুদ্রের গর্জন আর সুরের মূর্ছনায় মাতবে কক্সবাজার। এতে জেমস, এলআরবি, চিরকুট, মিলা, বারী সিদ্দিকী, ফকির শাহাবুদ্দিন, আঁখি আলমগীর কণ্ঠের জাদুতে সুরের ছোঁয়ায় মাতাবে দর্শকদের।
পর্যটন মন্ত্রণালয়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির এ আয়োজন সফল করার লক্ষ্যে কক্সবাজারকে অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে। মোড়ে মোড়ে টাঙানো হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন ও তোরণ।
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, সরকার ঘোষিত পর্যটন বর্ষ ২০১৬। ওই বছর ১০ লাখ বিদেশি পর্যটককে বাংলাদেশ ভ্রমণে আনার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। আর বীচ কার্নিভাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এতে পর্যটকরা বাড়তি বিনোদন পাবেন।
তিনি জানান, সংগীত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকছে নানা অনুষ্ঠানের। এতে বিভিন্ন দেশীয় খাবারের প্রদর্শনী, লোকশিল্পের পসরা, সারা দেশের পর্যটন শিল্প নিয়ে বিভিন্ন আয়োজন, ঘুড়ি উৎসব, প্রদর্শনী, বিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, সার্ফিং, বালুর ভাস্কর্য তৈরি, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন নিয়ে তিন দিনের বীচ কার্নিভাল হয়ে উঠেবে উত্তাপের কক্সবাজার।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউসের শতভাগ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। কার্নিভাল চলাকালে পর্যটকের ঠাঁইহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে অভিমত হোটেল ব্যবসায়ীদের। পর্যটকের কথা বিবেচনা করে হোটেল মোটেলে বিশেষ প্যাকেজ ও নিজস্ব অনুষ্ঠান রাখা হচ্ছে।
পর্যটকের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সর্তক রয়েছে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান খাজেমী জানান, তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ঢাকা রয়েছে কক্সবাজার। সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে নজরদারির পাশাপাশি থাকছে বিশেষ চেকপোস্টও।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
টিটি/এআর/টিসি