চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ১০ পৌরসভার একটিতেও নৌকার বিরোধীদের ঠাঁই হয়নি। সব পৌরসভাতেই জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
তবে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, প্রার্থীদের হুমকিধমকি, ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে বিএনপি চট্টগ্রামে ১০ পৌরসভার প্রতিটিতে পুর্ননির্বাচন দাবি করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর বিকেল ৫টা থেকে ভোটগণনা শুরু হয়। গণনা শেষে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। রাত সোয়া ৯টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা শেষ হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, চন্দনাইশ ছাড়া চট্টগ্রামের বাকি নয় পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, সাতকানিয়ায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে একটি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একজন নিহত হয়েছে। এটা ভোটকেন্দ্র থেকে দূরে ঘটেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
রাউজান পৌরসভায় মেয়র পদে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেবাশীষ পালিত। নৌকা প্রতীকে দেবাশীষ পালিত পেয়েছেন ২৮ হাজার ১৬২ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১২০ ভোট। এর আগের নির্বাচনে কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তিনি ঠাঁইও পাননি।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মো.শাহজাহান সিকদার নৌকা প্রতীকে ১২ হাজার ৯৮৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন খান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৫৮ ভোট।
সাতকানিয়া পৌরসভায় মেয়র পদে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো.জোবায়ের। নৌকা প্রতীকে জোবায়ের পেয়েছেন ২০ হাজার ২৫৭ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী হাজী রফিকুল আলম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ২৮৯ ভোট। এর ফলে জামায়াতের ঘাঁটি সাতকানিয়ার পৌরসভাও আওয়ামী লীগের দখলে এল। এর আগে দুইবার পৌর নির্বাচনে সেখানে মেয়র পদে জিতেছিল বিএনপি।
চন্দনাইশ পৌরসভায় মেয়র পদে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুল আলম খোকা। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৫২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এলডিপি’র আইয়ূব কুতুবী ছাতা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৭৭০ ভোট।
পটিয়া পৌরসভায় মেয়র পদে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক হারুনুর রশিদ। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির তৌহিদুল আলম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৩৫ ভোট। গত নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি বর্তমানেও মেয়র পদে আছেন।
সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদিউল আলম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। বদিউল আলম মোট ১৪ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির আবুল মনছুর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৯৪২।
মিরসরাই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ২৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রফিকুল পারভেজ পেয়েছেন ৪৭৫ ভোট।
সন্দ্বীপ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জাফর উল্লাহ বেসরকারীভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৬৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আজমত উল্লাহ বাহাদুর পেয়েছেন ৪৬৪ ভোট।
বারৈয়ারহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন মোট ৫ হাজার ৫৬৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মাইনুদ্দিন লিটন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২২৬টি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
আরডিজি/টিসি