ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জেএসসিতে বেড়েছে পাশের হার ও জিপিএ-৫

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
জেএসসিতে বেড়েছে পাশের হার ও জিপিএ-৫ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবছর জেএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুটোই বেড়েছে। গতবছর চট্টগ্রামে পাসের হার ছিল ৮৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।

এবছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৪৮ শতাংশে।

পাশের হারের পাশাপাশি বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও।
গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ৪৮৭ জন শিক্ষার্থী। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৬৮জনে। এর মধ্যে মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৩৯৯ ও ছাত্রী সংখ্যা ৬ হাজার ৮৬৯ জন।

বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কার্যালয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জামালউদ্দিন আহমেদ। সামগ্রিক ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি।

এসময় শিক্ষাবোর্ড সচিব ড. পীযুষ দত্ত, কলেজ পরিদর্শক সুমন বড়ুয়া, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল মনছুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফলাফল বিশ্লেষণে ড. পীযুষ দত্ত বলেন, বোর্ডের অধীনে ষষ্ঠবারের মতো জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হল। গতবারের তুলনায় পাসের হার কিছুটা বেড়েছে। সংখ্যার দিকে থেকে বেড়েছে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও।

ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটা অনেক বড় সাফল্য। এছাড়া এবছর প্রথমবারের মতো ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরাসরি জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

এদিকে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও কমেছে জিপিএ ৫ এর হার। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বোর্ড সচিব বলেন, গতবছর ১০টি বিষয়ে ১২টি পত্রে পরীক্ষা দিয়েছিল পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু এবছর ১৩টি পত্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। যে কারণে জিপিএ-৫ এর হার কমেছে। তবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে।

জামাল উদ্দিন জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এবছর সেরা ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন তালিকা করা হয়নি। তবে জিপিএ ৫ এর ভিত্তিতে বোর্ড সেরা স্কুল নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুলের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৪৮ জনই জিপিএ ৫ পেয়েছে।

সেরা স্কুলের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুলের ৩২৩ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া তৃতীয় অবস্থানে থাকা কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০৩ জন পরীক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০৪টি কেন্দ্রে এক হাজার ১৮৬ বিদ্যালয়ের এক লাখ ৭০ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষার্থী নিবন্ধন করে পরীক্ষায় অংশ নেয় এক লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৬ জন। পাশ করেছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৯৩৯ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭৬ হাজার ৩৬৫ জন ছাত্র এবং ৯৪ হাজার ৩৫১ জন ছাত্রী।

এবার চট্টগ্রামে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা ভাল ফলাফল করেছে। চট্টগ্রামে মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ ছেলে পাশ করেছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এ হার ৮৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে পাশের হার কমেছে রাঙামাটি জেলায় । এ জেলায় পাশের হার ৮১ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। পাশের হার বেড়েছে নগরীতেও। এখানে পাশের হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতবার ছিল ৯০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাশের হার গতবারের সমান। যদিও তা কিভাবে সম্ভব হয়েছে তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা| এবার নগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাশের হার ৮২ দশমিক ৩৫ যা গতবারও ছিল। মহানগর সহ চট্টগ্রাম জেলায় পাশের হার ৮৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। গতবার ছিল ৮৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এবার কক্সবাজার জেলায় পাশের হার ৯০ দশমিক ২ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ৮৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বান্দরবানে ৭৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গতবার এসব জেলায় পাশের হার ছিল যথাক্রমে- ৮৬ দশমিক ২০, ৮৩ দশমিক ৬ এবং ৭৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
এমইউ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।