ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঘুঁটে তৈরির ধুম, চুলাও জ্বলে টাকাও আসে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৭
ঘুঁটে তৈরির ধুম, চুলাও জ্বলে টাকাও আসে ‘মুইট্টে ঘুঁটে’ তৈরি করে শুকাতে দিয়েছেন গৃহস্থরা

চট্টগ্রাম: শহরতলি থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে এখন ঘুঁটে তৈরির ধুম পড়েছে। বাড়ির পাশে, রাস্তার ধারে, সীমানা প্রাচীরে, বেড়ায় এমনকি জমিতেও ঘুঁটে শুকাতে দিচ্ছেন গৃহস্থরা।  

নিম্নআয়ের গৃহস্থবাড়িতে সকাল-দুপুর গোবরের ঘুঁটে তৈরি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছেন নারীরা। এতে নিজেদের ঘরের চুলা জ্বালানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়ও হচ্ছে।

কেউ কেউ ঘুঁচে বেচে করছেন আয়, হচ্ছেন স্বাবলম্বীও।

সীতাকুণ্ড, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালীসহ বেশ কিছু উপজেলায় ঘুঁটে তৈরির দৃশ্য চোখে পড়েছে।

শীতের মিষ্টি রোদে ঘুঁটেগুলো শুকিয়ে জ্বালানোর উপযোগী করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নারীরা। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ঘুঁটেকে বলা হচ্ছে ‘গোন্ডা’। আবার বাঁশের কঞ্চি, গাছের চিকন ডালপালায় বিশেষ কৌশলে গোবর লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ‘গোন্ডার লাঠি’ বা ‘মুইট্টে ঘুঁটে’।  

সীতাকুণ্ডের মুরাদপুরের মোজাম্মেল হকের নতুন বাড়ির খালেদা বেগম (৩০) বাংলানিউজকে বলেন, দুইটি হালের গরু আছে গোয়ালে। শীতকালে প্রতিদিন সকালে যে গোবর পাই তা দিয়ে ঘুঁটে তৈরি করি। বছরের অন্য সময় গোবর মাটিতে বড় গর্ত করে জমিয়ে রাখি। ক্ষেতখামারে গোবরের কদর আছে বেশ।

তিনি জানান, প্রতিটি গোবরের লাঠি সর্বনিম্ন দুই টাকা বিক্রি হয়। ঘুঁটের সাহায্যে আমরা বছরের বেশিরভাগ সময় চুলা জ্বালাই। এ ছাড়া বাড়তি ঘুঁটে বিক্রি করে দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে পারছি।

স্থানীয় কৃষক আবু তাহের বাংলানিউজকে জানান, গরুর গোবর চাষিদের কাছে আশীর্বাদ। পর্যাপ্ত গরুর গোবর দিতে পারলে সবজিক্ষেতে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। শীতকালে বেশিরভাগ তাজা গোবরই ঘুঁটে তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। জ্বালানি হিসেবে বেশ। ঘুঁটের ছাই আমরা ক্ষেতের পোকামাকড় তাড়াতে ব্যবহার করছি।

   

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।