ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হীরকজয়ন্তীতে আশুতোষ কলেজে প্রাণের উৎসব

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৭
হীরকজয়ন্তীতে আশুতোষ কলেজে প্রাণের উৎসব  হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা বের হয়। (ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

চট্টগ্রাম: বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের হীরকজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা।

শনিবার (৭জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রা।   এতে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

  নেচে, গেয়ে শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেন আনন্দ-উৎসবে।

শোভযাত্রা কলেজের পাশে কানুনগোপাড়ার হরি মন্দির পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।

এদিকে হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে কলেজ মাঠে হাজারো প্রাক্তন শিক্ষার্থীর সম্মিলনে বসেছে প্রাণের মেলা।

হীরকজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করেছে স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি।  

সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মোমিন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, শনিবার দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে আছে আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ এবং মধ্যাহ্ন ভোজ।  দুপুর আড়াইটায় খেলাধূলা, বিকেল ৪টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাত ৮টায় র‌্যাফেল ড্র।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন, সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল, স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষাবিদ ড. সুনীতি ভূষণ কানুনগো এবং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোদাচ্ছের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন।

হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা বের হয়।  (ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

কানুনগোপাড়ায় স্বনামখ্যাত দত্ত পরিবারের সন্তান ও প্রাক্তন ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট রেবতী রমণ দত্ত কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র জনগণের মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বোয়ালখালী উপজেলার কানুনগোপাড়ায় তিনি ১৯৩৯ সালের ১৪ জুলাই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।

তার শিক্ষাগুরু, অবিভক্ত ভারতের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের নামে কলেজটির নামকরণ করা হয়।   কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন মাখন লাল নাগ।  

শুরু থেকেই কলেজটিতে ছিল ছাত্রাবাস।  অনগ্রসর বৃহত্তর চট্টগ্রামের দূর-দূরান্তের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে এই কলেজে পাঠ নিয়েছে অনেক তরুণ-যুবক, যাদের অনেকেই দেশের এখন স্বনামখ্যাত নাগরিক।

গ্রামাঞ্চলের এই কলেজটি দেশের স্বাধীনতা ও প্রগতিশীল আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবেও পরিচিত।  

অবিভক্ত ভারতের দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের স্ত্রী এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস দলের সভাপতি নেলী সেনগুপ্তা কলেজটি পরিদর্শন করেছিলেন।

এছাড়া পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান, বিজ্ঞানী ড.কুদরৎ-ই-খুদা, ড. কাজী মোতাহের হোসেন, কবি বেগম সুফিয়া কামাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. এ আর মল্লিক, পল্লীকবি জসিম উদ্দীনও  বিভিন্ন সময় এই কলেজে এসেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৬

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।