রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে মো.সেলিম উল্লাহ (৩৮) নামে ওই কর্মকর্তাকে বাকলিয়ার শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সেলিমের কাছ থেকে প্রতিটি ৫০ রিঙ্গিত মূল্যমানের ১৮৮০ টি এবং প্রতিটি ১০০ রিঙ্গিত মূল্যমানের ৩১০ টি মালয়েশিয়ার নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া তার হেফাজত থেকে প্রতিটি ১০০ ডলার মূল্যমানের ১১৮ টি আমেরিকার নোট উদ্ধার করা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
রিঙ্গিত ও ডলার মিলিয়ে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৫ লাখ ৩ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা এনজিও কর্মকর্তা সেলিমের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
সূত্রমতে, সেলিম কো-অপারেটিভ ফর হিউম্যান অ্যাকটিভিটিস (সিএইচএ) নামে একটি এনজিওতে অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে কাজ করেন। কক্সবাজার সদরের রুমালিয়া ঘোনার রুমালিয়া ছড়ার মোস্তাক আহমেদের ছেলে।
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং এলাকায় মো.আয়াছ ওই এনজিওর মালিক। এনজিওটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের মধ্যে কাজ করছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ওসি প্রনব চৌধুরী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম জানিয়েছেন, এনজিওর মালিক তাকে বিদেশি মুদ্রাগুলো দিয়েছেন। তার কাছে বিদেশি মুদ্রা রাখার বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। তাদের কর্মকাণ্ড সন্দেহজনক। বিষয়টি আমরা উচ্চপর্যায়ে অবহিত করছি।
এই ঘটনায় সেলিমের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় এসআই খোন্দকার সাইফুদ্দিন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
আরডিজি/টিসি