রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় থেকে পাওয়া বেসরকারি ফলাফল তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলায় ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৮ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৫৯ হাজার ৭৪২ ভোট।
এর মধ্যে সর্বাধিক ১৩ হাজার ১২৩টি ভোট বাতিল হয়েছে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে।
নির্বাচনী ফলাফল তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ১১৩ জন। আসনটিতে বাতিল ভোট ১ হাজার ৫৯৭টি।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪০৫ । বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৯৬৮টি ভোট। চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯৬। বাতিল হয়েছে ৭৫২ ভোট। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ৭৯৪ জন। বাতিল ভোট ৩ হাজার ৩৮৬টি।
চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী আসনে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৫৩৬। বাতিল হয়েছে ৭ হাজার ১১৪ ভোট। চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫৫। ভোট বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৬৩১। চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার ৪০২। বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৭১৭টি ভোট।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৫। বাতিল হয়েছে ১৩ হাজার ১২৩টি ভোট। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৯টি। তবে আসনটিতে কোনো ভোট বাতিল করা হয়নি। চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী)আসনে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯১। ভোট বাতিল হয়েছে ৪ হাজার ৭৬টি।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২২৪টি। বাতিল করা হয়েছে ৪ হাজার ৫২৬টি। চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৬৮টি। বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৬৯৬ ভোট। চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬টি। বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ১৯৮টি ভোট। চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৩০২। বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৯৯৩ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৩১৩টি। বাতিল হয়েছে ৫ হাজার ৫৮৫টি ভোট। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ২৬৯। বাতিল হয়েছে ভোট ২ হাজার ৩৮০টি।
ব্যালট পেপারে সিল দেওয়ার বিষয়ে ভোটারদের অজ্ঞতাকে ভোট বাতিলের কারণ হিসেবে দেখছেন নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কোতোয়ালী থানা নির্বাচন অফিসার মো. কামরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘কীভাবে ভোট দিতে হবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় অনেক ভোটার সিল মারতে ভুল করেছেন। আবার প্রতীক নিয়েও বিভ্রান্ত হয়েছেন অনেকে। তাই এসব ভোট বাতিল হয়েছে। ’
এব্যাপারে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনেক ভোটার ব্যালট পেপারে ভুল সিল মেরেছেন। নিয়ম অনুযায়ী তাদের ভোটগুলো বাতিল করা হয়েছে। ’
জেলা নির্বাচন অফিসের চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, এবার চট্টগ্রামে মোট ভোটার ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬টি সংসদীয় আসনে ১১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৯
এসইউ/টিসি