মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।
সূত্র জানায়, ৪০ ফুট দীর্ঘ ও ২০ ফুট দীর্ঘ দুই ধরনের কনটেইনার বা বক্স পরিবাহিত হয় বিশেষায়িত জাহাজে।
তিনি জানান, সদ্য সমাপ্ত বছরে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রফতানি মিলে মোট কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ১১ হাজার ২২৪ মেট্রিক টন।
৩ হাজার ৭৪৭টি সমুদ্রগামী জাহাজে এসব কনটেইনার ও কার্গো পরিবহন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড করে বন্দর। ২০ ফুট দীর্ঘ হিসেবে (টিইইউ’স) ২ লাখ ৬৫ হাজার ১৬৫টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। এর আগে রেকর্ড ছিল গত জুলাইয়ে, ২ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ টিইইউ’স।
এ ছাড়া দৈনিক ভিত্তিতে গত ১ ডিসেম্বর আমদানি-রফতানি পণ্যভর্তি ১১ হাজার ৪৬টিইইউ’স কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়। ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এটি ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় বন্দর হ্যান্ডলিং করেছিল ১০ হাজার ৮৩২ টিইইউ’স।
বন্দরের সক্ষমতা ক্রমে বাড়ছে জানিয়ে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন ইয়ার্ড তৈরি, পুরনো ইয়ার্ড সম্প্রসারণ, কি-গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ নতুন নতুন হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন ও অটোমেশনের কারণে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে পারছে। ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বে-টার্মিনাল, সীতাকুণ্ড-মিরসরাই এলাকায় মুরাদপুর টার্মিনালসহ অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৯
এআর/টিসি