নগরের জনবহুল চান্দগাঁও থানা এলাকার সানোয়ারা ইসলাম বালক উচ্চ বিদ্যালয়-এই চিত্র বদলে দেয়ার কারিগর। ২০০০ সালে বালকদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় নুরুল ইসলাম বিএসসি’র হাত ধরে, যিনি সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী।
শুধু এই শিক্ষালয় নয়, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক নুরুল ইসলাম বিএসসি আরও ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।
পুরাতন চান্দগাঁও এলাকায় প্রতিষ্ঠিত সানোয়ারা ইসলাম বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে সদ্য প্রকাশিত জেএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করেছে ছাত্ররা।
২০১৮ সালে এই বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে ১৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২৯ জন পাস করেছে। এদের মধ্যে ২৬ জন এ প্লাস পেয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১৩৫ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এ প্লাস পেয়েছে ২১ জন। ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৩০ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ প্লাস পেয়েছে ২৬ জন ছাত্র। একই বছর জেএসসি পরীক্ষায় অংশ্রগ্রহণ করে ১৬৪ জন। এদের মধ্যে ১৭ জন এ প্লাস ও ১৪৭ জন এ গ্রেডে পাস করে।
প্রধান শিক্ষক মো. আবুল মনছুর চৌধুরী বলেন, ‘২০১০ সালের শেষের দিকে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেন নুরুল ইসলাম বিএসসি’র সন্তান জাহেদুল ইসলাম। তার মাধ্যমেই বিদ্যালয়ের আধুনিকায়ন শুরু হয়। তারই প্রচেষ্টায় শিক্ষকরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাঠদান করছেন। ’
জানা গেছে, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও অনুসরণ, সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের উন্নয়ন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, নিজস্ব ছাত্র মিলনায়তন ও শহীদ মিনার নির্মাণ, শ্রেণিকক্ষ ও ক্যাম্পাস সিসিটিভি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ, আধুনিক বিজ্ঞানাগার ও কম্পিউটার ল্যাব, ৪৫০০ বই-সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, এসএমএস সিস্টেম চালু, ডায়নামিক ওয়েবসাইট চালুকরণ, ওয়েবসাইটে ফলাফলসহ যাবতীয় তথ্য সন্নিবেশন করা হয়েছে। প্রায় দেড় কোটি টাকায় বিদ্যালয় সংলগ্ন জমি কেনা হয়েছে, যেটি ব্যবহৃত হবে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ হিসেবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জানান, ‘নগরের জিইসির মোড় থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত এলাকায় জনসংখ্যার তুলনায় মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অপ্রতুল। সেই অভাব পূরণের জন্য আধুনিক টিউটোরিয়াল সিস্টেম, নিয়মিত মাসিক পরীক্ষা এবং অভিজ্ঞ ও মেধাবী শিক্ষকদের নিরবচ্ছিন্ন তত্ত্বাবধানে সানোয়ারা ইসলাম বালক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। ফলে প্রতি বছরই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৯
এসি/টিসি