বুধবার (২ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের নিচতলায় এ অনুসন্ধান ও তথ্যকেন্দ্র চালু করা হয়।
শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম অর্থায়নে নির্মিত এ অনুসন্ধান ও তথ্যকেন্দ্র উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন।
মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘অনুসন্ধান ও তথ্যকেন্দ্র’ উদ্বোধনের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী জনগণের সেবার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগকে ডিডিটালাইজেশনসহ আইনি সেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার ও বিচারপ্রার্থী জনগণের বিচার লাভের পথ সহজ ও সুগম করার বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ সমুহের সাথে এটি একটি মাত্রা যোগ করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহানগর দায়রা জজ মো. আকবর হোসেন মৃধা অনুসন্ধান ও তথ্যকেন্দ্র স্থাপনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আদালত অঙ্গনকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
এ উদ্যোগে সহযোগী হওয়ার জন্য কেএসআরএম গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান বিচারকরা।
চট্টগ্রাম আদালত ভবনে আসা যে কোনো বিচার প্রার্থী আদালত ভবনে প্রবেশ করেই এখন অনুসন্ধান ও তথ্য কেন্দ্র থেকে আদালত সংশ্লিষ্ট যেকোনো তথ্য পেতে পারেন। কোন আদালত বা বিভাগের অবস্থান কোথায়, আদালতের কোন বিভাগে কী কী সেবা পাওয়া যাবে, কোনো বিশেষ তথ্য বা সেবার জন্য কোন অফিসে বা বিভাগে যেতে হবে, এমনকি কোনো আদালত ছুটিতে আছে কিনা? এমন সব ধরণের আদালত সংশ্লিষ্ট তথ্যসমূহ বিচারপ্রার্থী জনগণ অনুসন্ধান ও তথ্যকেন্দ্রে পাবেন।
অনুসন্ধান ও তথ্যকেন্দ্র উদ্বোধনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কামরুন্নাহার রুমী, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওসমান গণিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকরা।
অনুষ্ঠানে কেএসআরএম’র জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন) সৈয়দ নজরুল আলম, মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রফিকুল আলম, হেড অব ব্রান্ড মনিরুজ্জামান রিয়াদ, শাদ হোসেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির এজেডএম রেজাউল করিম, কোর্ট পরিদর্শক বিজন কুমার বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দুইজন কর্মচারী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই শিফটে অনুসন্ধান ও তথ্যকেন্দ্রে সেবা প্রদানের কাজে নিয়োজিত থাকবেন বলে বাংলানিউজকে জানান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নায়েব নাজির মো. এনামুল হক।
বুধবার অনুসন্ধান ও তথ্যকেন্দ্র চালু হওয়ার পর সকালের শিফটে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রসেস সার্ভেয়ার নিতীশ চন্দ্র দে ও বিকেলের শিফটে প্রসেস সার্ভেয়ার জুলফিকার রহমান দায়িত্ব পালন করেন।
জুলফিকার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বুধবার প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষ অনুসন্ধান ও তথ্যকেন্দ্রে সেবা নিয়েছে। যারা এখানে আসেন অধিকাংশ নারী বা বৃদ্ধ। আদালতগুলোর অবস্থান জানতে চান অধিকাংশ মানুষ। ’
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে অনুসন্ধান ও তথ্যকেন্দ্রে আসেন বাঁশখালী থেকে আসা রহিম উল্লাহ (৫২)। রহিম উল্লাহ অনুসন্ধান ও তথ্যকেন্দ্রে এসে জেনে নেন দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার কোথায় বসেন।
রহিম উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘কোর্টে আগে এরকম দেখিনি। কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে আদালতে তাই মাঝে মধ্যে আসি। অনেকগুলো কোর্ট থাকায় সংশ্লিষ্ট কোর্ট খুঁজে পেতে সময় লাগতো। এখন হয়তো এরকম কষ্ট হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৯
এসকে/টিসি