চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসন থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরীর ‘বাবার মন্ত্রিত্ব নিয়ে আমার কিছু কথা’ শীর্ষক এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এভাবেই নিজের মন্তব্য লিখেছেন শ্রী আবীর বিশ্বাস অমিত নামের এক ব্যক্তি।
শুধু আবীর বিশ্বাস নয়, ১৬ ঘণ্টা আগে দেওয়া এ স্ট্যাটাসটিতে লাইক পড়েছে লাখের কাছাকাছি।
কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আমি রাউজানের সন্তান নই, কর্মজীবনে ২ বছর সেখানে ছিলাম। কোন রাজনীতি করি না। কিন্তু আমি মনে করি এদেশের প্রতিজন এমপি ফজলে করিমের মতো হলে পুরো বাংলাদেশ ১০ বছরে সিংগাপুর হবে। বিশেষ করে ওনার সময়জ্ঞান এবং মাঠ পর্যায়ে ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ। পুরো রাউজান পিংক রং, সকল গাছে সাদা রং এবং বিদ্যুতায়নের কথা না বললে নয়। ’
এস আই মিল্লাত নামে এক তরুণ লিখেছেন, ‘আমি রাজনীতি করি না, বুঝিও না। কিন্তু নেতা কে কেমন খবর রাখি, তাতে ফজলে করিমের প্রশংসা অনেকবার করেছি। যদিও আমি রাউজানের নই, আমি অনেক দূরের মানুষ। কখনও ওনার ছায়া মাড়াইনি, তারপরও আমি প্রশংসা করছি। ’
আব্দুল্লাহ আল রোমান লিখেছেন, ‘রেলে সারা বছর যে লোকসান হয়, আমি নিশ্চিত এবিএম ফজলে করিম এমপি মহোদয়কে যদি রেলমন্ত্রী বানানো হয়, তাহলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মতোই রেলপথ হবে আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান আয়ের খাত। ’
রায়হান আর চৌধুরী লিখেছেন, ‘সিআরবিতে বিউটিফিকেশান কাজ তদারকির সময় মাননীয় এমপি সাহেব সময়ের আগেই আসতেন। উনার তদারকি শেষ হয়ে যেতো, তখনও রেলের কর্মকর্তা অনেকেই এসে উপস্থিত হতে পারতেন না। উনার দেখার চোখ দুর্দান্ত, আধুনিক। মাত্র ৩/৪ কোটি টাকায় যিনি সিআরবিকে আধুনিকভাবে সাজাতে পারেন, এমন পরিশ্রমী একজন এমপি মন্ত্রী হলে অসাধারণ কিছু করবেন। কোনও সন্দেহ নেই। ’
সাকিবুল ইসলাম লিখেছেন, ‘উনার প্রত্যেকটি কাজ নিখুঁত এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ। একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট হিসেবে আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী যেন উনাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অথবা স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে উনার মতো একজন মানুষের খুব বেশি প্রয়োজন। ’
আব্দুল মাজিদ রাজু লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি সিলেট, উনার অনেক সুনাম আমরা শুনি। যোগ্য ব্যক্তিকে মন্ত্রীত্ব দেওয়াটা উচিত। ভাই আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। ’
অমিত বড়ুয়া লিখেছেন, ‘আমি মনে করি শ্রদ্ধেয় এমপি মহোদয়কে শুধু রাউজান নয়, সমগ্র চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য কার্যকরী একটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ’
জি সৈকত শর্মা লিখেছেন, ‘এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সময়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। এই কথাটি একদম সত্যি এবং কথাটির পক্ষে আমি ভোট করছি। ওনার এলাকায় পুলিশ প্রটেকশনের দায়িত্বে ছিলাম আমি বেশ কিছুদিন। আমাদের রাউজান হাইওয়ে পুলিশের প্রটেকশন টিমকে উনি আসা-যাওয়ার যে সময়টি ডিক্লেয়ার করতেন, সে নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা ওনাকে রিসিভ করতাম এবং বিদায় দিতাম। এমন ব্যক্তি মন্ত্রীত্ব পেলে রাউজান তথা সারাদেশের উন্নয়ন হবে নিশ্চিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
টিসি