চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রহমত নগর কমিউনিটি ক্লিনিক, রাঙ্গুনিয়ার হোসনাবাদ ইউনিয়নের দু’নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি ক্লিনিক, আনোয়ারার পরৈকোড়া ইউনিয়নের আরফা আলম কমিউনিটি ক্লিনিক ও চাতরী ইউনিয়নের ডুমুরিয়া-রুদুরা কমিউনিটি ক্লিনিক এবং পটিয়ার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের কালিয়াইশ কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর নির্মান কাজ শেষে এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্র সিভিল সার্জন বরাবর বুঝিয়ে দিয়েছে।
এব্যাপারে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগের নিবাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, নির্মাণ কাজ শেষে ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক সিভিল সার্জন অফিসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু হলে আশপাশের বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে যাবে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা। জনগন যাতে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ভোগ করতে পারেন, সেজন্য শীঘ্রই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালুর কাজ চলছে। ’
‘বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলায় ৫শ’র অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ছয় হাজার মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পায়। এসব ক্লিনিকে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজননস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বিনা মূল্যে মিলছে ৩০ ধরনের ওষুধ। ’ যোগ করেন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
উল্লেখ্য, প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগণের জন্য একটি করে ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। যা বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৯৮ সাল থেকে। ২০০১ সালের মধ্যে ১০ হাজারের অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছিল। তবে সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরুজ্জীবিতকরণ কার্যক্রম শুরু করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৯
এসইউ/টিসি