সিলেট-কুলাউড়া-আখাউড়া সেকশনে ১৭৮ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। দীর্ঘ এ পথে ছোট-বড় ২৫০টির বেশি সেতু রয়েছে।
এ রুটের রেলসেতু ও কালভার্টগুলোর অর্ধশত বছরের পুরনো কাঠের স্লিপারের অধিকাংশ নষ্ট হয়ে যায়। রেল লাইনের ক্লিপ-হুক উঠে যাওয়া, সেতু-কালভার্ট সংস্কারের অভাব ও রেলসেতুর কাঠের স্লিপারগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে রেলপথটি।
সূত্র জানায়, সিলেট-কুলাউড়া-আখাউড়া রেললাইনে মোট ৫২টি সেতু অকেজো, স্লিপার ও ফিটিংস নষ্ট। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে ওই রুটে। পরে বিষয়টি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নজরে আসলে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করার জন্য প্রকৌশল দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগ সিলেট-কুলাউড়া-আখাউড়া রেললাইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।
ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৫২টি সেতুর মধ্যে ১৭টি সেতুর স্লিপার ও ফিটিংস সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কার হওয়া সেতুগুলো হলো-৫ (এ) নম্বর সেতু, ৭, ৮, ৯, ১২, ১৩, ১৮, ২৬, ২৯, ৪৩, ৪৫, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫৩ ও ৫৫।
আখাউড়া-কুলাউড়া সেতু নম্বর ১০, ১৫, ১৯, ৫৯, ৬১, ৬৯, ১০২, ১১৪, ১৩২, ১৪৯, ১৫৩, ১৫৯, ১৬৮, ১৮২, ১৮৩, ১৮৪, ১৮৫, ১৮৮ ও ১৯০ সেতুর মেরামত করা হয়েছে। কুলাউড়া-সিলেট সেকশনে সেতু নম্বর ২৯, ৪৫, ৪৭ ও ৪৩ সেতু সংস্কার করা হয়।
পাশাপাশি টেম্পিং মেশিন দিয়ে ১২৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রেল লাইনের মেকানাইজড মেইনটেনেন্স করা হয়েছে। এছাড়া ১১ দশমিক ১০ কিলোমিটার রেল লাইনের শ্যালো স্ক্রিনিং করা হয়েছে। নতুন করে ৬৫ হাজার ক্লিপ (ইআরসি) লাগানো হয়েছে রেল লাইনে। ক্লিপ চুরি না হওয়ার জন্য ওয়েল্ডিং করে দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার পিসি স্লিপার পি-ওয়ে ফিটিংস পরিবর্তন করা ও এক লাখ ঘনফুট ব্যালাস্ট স্প্রেডিং করা হয়েছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন বাংলানিউজকে বলেন, সিলেট-কুলাউড়া-আখাউড়া রেললাইনে এখন আর ঝুঁকিপূর্ণ নয়। সরেজমিনে পরিদর্শন করে পুরো রেললাইন সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে। চুরি রোধে ক্লিপগুলোকে ওয়েল্ডিং করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
জেইউ/টিসি