ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোছলেম-সুফিয়ানকে নিয়ে ভোটের হিসাব

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
মোছলেম-সুফিয়ানকে নিয়ে ভোটের হিসাব মোছলেম-সুফিয়ানকে নিয়ে ভোটের হিসাব।

চট্টগ্রাম: বোয়ালখালী উপজেলার কদুরখীল, পশ্চিম গোমদন্ডী, পূর্ব গোমদন্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া, চরণদ্বীপ, আমুচিয়া ও আহল্লা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে।

আগামী ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৬জন। সর্বশেষ রোববার (২২ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

এখন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও বিএনপির আবু সুফিয়ান।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-৮ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮ জন।

এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। বোয়ালখালী উপজেলায় ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার। কেন্দ্র সংখ্যা ১৮৯টি। নগরের ৫টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৮৮ জন। কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

নগরে ভোটার সংখ্যা বেশি হওয়ায় উপ নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নির্ভর করছে এখানকার ভোটারদের ওপর। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

১৯৯১ সালে প্রয়াত বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এ আসন থেকে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। সে সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম বিএসসি। ১৯৯৬ সালে বিএসসির সঙ্গে ভোটযুদ্ধে জয়ী হন বিএনপির মোর্শেদ খান। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালামকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো এ আসন থেকে নির্বাচিত হন মোর্শেদ খান, পেয়েছিলেন চারদলীয় জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কালে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছিল এরশাদ উল্লাহকে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মহাজোটের প্রার্থী মঈনুদ্দীন খান বাদল। নৌকা প্রতীক নিয়ে বাদল জয় পান। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ নির্বাচনে মঈনুদ্দিন খান বাদল নৌকা প্রতীকে  পেয়েছিলেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৮৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু সুফিয়ান পেয়েছিলেন ৫৯ হাজার ১৩৫ ভোট।

এদিকে আসন্ন উপ নির্বাচনে প্রার্থীরা তাদের ভোটের প্রচারে কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণের বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। দলীয় প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে নগরের বহাদ্দারহাটে। অপরদিকে প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে চান্দগাঁওয়ে।

মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এর দাবি, নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নেতাকর্মীরা বিরোধ ভুলে এক হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছেন তিনি।

অপরদিকে আবু সুফিয়ান বলছেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে ধানের শীষের জোয়ার ঠেকানো যাবে না। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।