১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করা এ বিতর্ক সংগঠনটি ২০১৯ সালে বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ৭টি রানার্সআপ এবং ১০টি চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জিতেছে। এছাড়াও দুইটি ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্টে প্রি-সেমিফাইনাল রাউন্ডে লড়াই করে সংগঠনটি।
এর মধ্যে ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাউন্টার টেরোরিজম এবং ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত জঙ্গিবাদবিরোধী আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা’, ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা’, ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং অর্গানাইজেশন আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা’, ‘বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্যায়’, ‘রবি-দৃষ্টি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং ‘প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা সহ আরও চারটি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় চিটাগং ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগ্রাবাদে দ্য কপার চিমনি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৯ সালের প্রতিবেদন ও আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এক বছর মেয়াদী এ কমিটিতে দর্শন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইনতিছার বিন ইসমাইলকে সভাপতি ও কাজী তৌফিকা ইসলামকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিইউডিএস’র মডারেটর ও চবি আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান। এছাড়া অতিথি হিসেবে চবির কলা ও মানবিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম সেকান্দর চৌধুরী, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান সুকান্ত ভট্টাচার্য, ওয়েল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, এ কে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি সালাহউদ্দীন কাসেম খান, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিতাই ভট্টাচার্য, মহানগর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিরা যু্ক্তিবিদ্যার এ চর্চাকে আরও বড় পরিসরে এগিয়ে নেওয়া ও বিতর্কে উত্তরোত্তর সাফল্য অর্জনে কাজ করার আহ্বান জানান নবগঠিত কমিটিকে।
সংগঠনটির সাবেক সভাপতি হিমাদ্রি শেখর নাথ বাংলানিউজকে বলেন, এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার সময় যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি সেটা সময় বলে দেবে। তবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন এবং বিতর্কে অর্জন আমাদেরকে সমৃদ্ধ করেছে- এতটুকু বলতে পারি। আশা করি আগামীতেও এর ধারাবাহিকতায় সিইউডিএস এগিয়ে যাবে। নতুনদের হাত ধরে নতুন নতুন অর্জনে আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে চিটাগং ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি।
২১তম কমিটির সদস্যরা হলেন- সহ সভাপতি নূর সানজিদা খানম, মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, নুর ইসলাম বিপ্লব, নিয়াজ মোর্শেদ খান, আদনান বিন আকতার চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মরিয়ম জাহান সায়মা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল আসয়াদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুরাইয়া আকতার, অর্থ সম্পাদক সাঈদ বিন মহিউদ্দীন, ইভেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সেক্রেটারি শাফায়েত হোসাইন শিহাব, বিতর্ক সম্পাদক মোহাম্মদ হাসিব খান, মেম্বার অ্যান্ড আউটরিচ সেক্রেটারি সারাহ বিনতে চৌধুরী, জনসংযোগ সম্পাদক সাফওয়াত মোনতাসির, মিডিয়া সেক্রেটারি মিনহাজুল ইসলাম ইমন, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল নাইম পৃথা, প্রচার এবং প্রকাশনা সম্পাদক নাকিব বিন ইসলাম, গবেষণা এবং উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক অর্জন ত্রিপুরা, নারী বিষয়ক সম্পাদক নুজহাত ইয়াছমিন নিহা, অনলাইন প্রমোশন সেক্রেটারি জসিং মারমা, ক্যাম্পাস বিষয়ক সম্পাদক অমিত হাসান, সহ বিতর্ক সম্পাদক আলিফ আল হায়দার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এসি/টিসি