মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। এবার ১৭৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
মেয়র বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করছি আমরা।
তিনি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দুই বছর ১৫০ জন করে, পরের দুই বছর ১৭০ জন করে এবং এবার ১৭৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানিয়েছি।
শুভাশীষ সিনহা বলেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। গর্বের মাস। এ মাসে ভারত ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচেষ্টায় এ দেশকে স্বাধীনতা এনে দেওয়া হয়েছিল। পাক হানাদার মুক্ত করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সেক্রিফাইস বলে শেষ করার মতো নয়। মুক্তিযোদ্ধা ভিসার জন্য এলে আমি স্পেশালি টেক কেয়ার করি। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বৃত্তি দিয়ে থাকি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) শুভাশীষ সিনহা, রাশিয়ার অনারারি কনসাল জেনারেল স্থপতি আশিক ইমরান ও নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া। বক্তব্য দেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, জোবাইরা নার্গিস খান, নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, মো. মঈনুদ্দিন প্রমুখ।
নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোজাফফর আহমদ মেয়রের উদ্দেশে বলেন, দেশে একমাত্র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২৬-২৮ লাখ টাকা খরচ করে বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন। আমরা আপনার পাশে থাকবো।
নগরে মেয়র হজ কাফেলার মতো মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পরিচালনা পর্ষদে মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এআর/টিসি