আবু সুফিয়ানের দাবি, সাবেক সংসদ সদস্য এই এলাকায় কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। ভোটাররা তার ওপর আস্থা রাখছেন।
বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল, পশ্চিম গোমদন্ডী, পূর্ব গোমদন্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া, চরণদ্বীপ, আমুচিয়া ও আহল্লা-করলডেঙ্গা ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনটির প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয় মঙলবার (২৪ ডিসেম্বর)।
আগামী ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৬জন। নৌকার মোছলেম ও ধানের শীষের সুফিয়ান ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ (চেয়ার), ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত (কুঁড়েঘর) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক (আপেল)।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বোয়ালখালী দীর্ঘদিন অবহেলার শিকার। আমাদের সমৃদ্ধ বোয়ালখালী বানাতে হবে। এলাকার সন্তান হিসেবে ভোটাররা আমার প্রতি আস্থা রাখছেন। দীর্ঘদিনের দুঃখ কালুরঘাট সেতু এখনও দৃশ্যমান হয়নি। নির্বাচনী ওয়াদার অংশ হিসেবে কালুরঘাট সেতু প্রকল্পকে আমি অগ্রাধিকার দিয়েছি। ’
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে ধানের শীষের জোয়ার ঠেকানো যাবে না। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবো। ভোটারদের সমর্থন পাচ্ছি। তারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে এই উপনির্বাচনেও আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবো বলে আশা রাখছি।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ একাংশের সভাপতি মঈনুদ্দীন খান বাদল নৌকা প্রতীক নিয়ে বাদল জয় পান। বাদল পেয়েছিলেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৮৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সুফিয়ান পেয়েছিলেন ৫৯ হাজার ১৩৫ ভোট।
৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮জন ভোটার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) রায় দিয়ে নির্বাচিত করবেন জনপ্রতিনিধি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
এসি/টিসি