দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল হাজতখানায় আসামিদের অনৈতিক সুবিধা প্রদানসহ নানা অনিয়ম হয়। আদালতের হাজতখানার অনিয়ম নিয়ে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের এসব অনিয়ম অনেকাংশে কমে আসে।
আদালত সংশ্লিষ্টরা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ নড়েচড়ে বসে। হাজতখানায় অনিয়মের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের সেখান থেকে ক্লোজড করা হয়।
হাজতখানায় আসামিদের সঙ্গে বিভিন্ন মানুষের দেখা করানোর জন্য অবৈধ আর্থিক লেনদেন হতো, দাগি আসামিরা হাজতখানায় বসে ব্যবহার করতো মোবাইল ফোন। এখান থেকে অনেক মাদক ব্যবসায়ী তাদের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো বলেও অভিযোগ ছিল। আর এসব কিছু গুটিকয়েক অসাধু পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে হতো।
বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের পর এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যায়। সিসিটিভি ক্যামেরা বাড়ানো হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিংও করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি ফের আলোচনায় আসে আদালতের মেট্রো হাজতখানা।
মাদক ও অস্ত্র মামলায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে আসা এক আসামি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সেলফি তুলেন। সেই ছবি তার ফেসবুকে শেয়ার করেন। এ নিয়ে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশিত হলে ফের আলোচনায় আসে আদালতের হাজতখানা। এ ঘটনায় হাজতখানার দায়িত্ব থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারও করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি