সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে পরি নামের মা-বাঘটি দুইটি শাবকের জন্ম দেয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আনার পর ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই দুইটি শাবকের জন্ম দিয়েছিলো পরি।
চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাংলানিউজকে দুইটি ব্যাঘ্রশাবকের জন্মের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শাবক দুইটির কাছে আপাতত চিড়িয়াখানার কিউরেটর ছাড়া কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। চোখ ফোটার পর বিস্তারিত জানানো হবে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০০৩ সালে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে দুইটি বাঘ আনা হয়েছিল। ২০০৬ সালে বাঘ ‘চন্দ্র’ মারা যায়। ২০০৯ সালে তার সঙ্গী ‘পূর্ণিমার’ ক্যান্সার ধরা পড়ে। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পূর্ণিমা মারা যায়। এরপর থেকে চার বছর বাঘহীন অবস্থায় ছিলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।
২০১৬ সালের ১৯ আগস্ট বাঘ আমদানির জন্য আর্ন্তজাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। চারটি প্রতিষ্ঠান বাঘ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করে দরপত্রে অংশ নেয়। সর্বনিম্ন ৩৩ লাখ টাকায় ২৬ সেপ্টেম্বর বন্যপ্রাণী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফেলকন গ্রুপকে কার্যাদেশ দেয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। ৮ ডিসেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা ১ জোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছে। একটি বাঘের বয়স ছিলো ১১ মাস, অপরটির ৯ মাস। বাঘ ছাড়াও এ চিড়িয়াখানার জন্য আমদানি করা হয় ৬টি জেব্রা।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৬৭ প্রজাতির তিন শতাধিক পশু ও পাখি আছে। এর মধ্যে আছে সিংহ, পুরুষ ভাল্লুক, কুমির, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, উল্টোলেজী বানর, উল্লুক, হনুমান, চিতা বিড়াল, উটপাখি, ইমু, ঘোড়া ইত্যাদি।
>> ৩৩ লাখ টাকায় রয়েল বেঙ্গল এলো আফ্রিকা থেকে
>> আফ্রিকা থেকে আনা বাঘের খাঁচায় নতুন অতিথি
>> ৪৮ লাখ টাকার ৬ আফ্রিকান জেব্রা এলো চট্টগ্রামে
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এআর/টিসি