ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে মেট্রোরেলে সমীক্ষায় ১৮ মাস সময় লাগবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২
চট্টগ্রামে মেট্রোরেলে সমীক্ষায় ১৮ মাস সময় লাগবে ...

চট্টগ্রাম: অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কোইকা’র সহযোগিতায় চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে নগরের উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে জানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন বলেছেন, এ সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হতে প্রায় ১৮ মাস সময় প্রয়োজন হবে।  

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত মেয়রকে বিষয়টি জানান।

মেয়র বলেন, স্বাধীনতার পর পরই যেসব দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই যুক্ত আছে দক্ষিণ কোরিয়া।

বাংলাদেশকে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার নেপথ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ অবদান রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী এ দেশটি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষভাবে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোইকা’র সহায়তায় প্রকল্পের প্রাথমিক সমীক্ষা কার্যে ৫১ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সরকার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।  

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সদিচ্ছার কারণে চট্টগ্রাম অচিরেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নগরে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় বিনিয়োগে অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখানে বাস্তবায়ন হচ্ছে বে-টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চল, কর্ণফুলী তলদেশে টানেল, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প।  

২০৪১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশকে উন্নীত করতে দক্ষিণ কোরিয়াকে বিনিয়োগ, তথ্য-প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রশিক্ষণ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান মেয়র।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করে বলেন, চট্টগ্রাম পাহাড়, নদী, সাগরবেষ্টিত একটি অনন্য নগর। যেকোনো বিদেশি পর্যটক এর সৌন্দর্য দেখে বিমুগ্ধ হবে।  

তিনি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানিখাত পোশাকশিল্পের প্রারম্ভে অবদান রাখতে পারায় আমরা গর্ব অনুভব করি। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের আওতায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে কেইপিজেড প্রতিষ্ঠার অনুমতিপ্রাপ্ত হয় এবং ইয়ংওয়ান’র মতো পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এখানে শিল্পস্থাপনের মাধ্যমে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কেইপিজেড’র পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হলে অন্যদেশের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আস্থা পাবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নিজস্ব ব্র্যান্ডের বিকাশ ঘটাতে হবে।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি জেং ইউল লি, প্রফেসর ইলজন চ্যাং, কোইকা’র প্রতিনিধি চ্যাউন কিম, জিং বো চুই, মো জেন কং, চট্টগ্রাম কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশন’র চেয়ারম্যান মি. জিনহুক পাইক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।