ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্টতা, তদন্ত কমিটির ২ সদস্যের অপসারণ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২২
জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্টতা, তদন্ত কমিটির ২ সদস্যের অপসারণ দাবি ...

চট্টগ্রাম: এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ এর ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশে অসংগতির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।  

বুধবার (২ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান বরাবরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথের দেওয়া এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।

চিঠি বলা হয়, গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যদের রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সম্পর্কে banglanews24.com অনলাইন পোর্টালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মাহমুদুল করিমের বরাত দিয়ে একটি মন্তব্য প্রচার হয়েছে।

তাতে আহ্বায়কের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরেন ওই ছাত্রনেতা। আহ্বায়ক স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উপরন্তু, তদন্ত চলাকালে তারা অত্র বোর্ডের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দীর্ঘসময় আলাপ-আলোচনায় লিপ্ত ছিলেন। এ ছাড়া তদন্ত কমিটির ১ নম্বর সদস্য এএইচএম সাজেদুল হকের শ্বশুর প্রফেসর গোলাম মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত সাদা প্যানেলের আহ্বায়ক ছিলেন। পরে গোলাম মহিউদ্দিন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন, যেটা জামায়াতের অনুদানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গোলাম মহিউদ্দিনের জামাতা হিসেবে এএইচএম সাজেদুল হকের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। এতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ১ নম্বর সদস্যের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তাঁদের নিয়ে এ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ ছাড়াও তদন্ত চলাকালে তদন্তের নামে এইচএসসি ২০২১-এর ফলাফলের ডাটা পেনড্রাইভে করে আপনার বরাত দিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়ায় বোর্ডের গোপনীয় তথ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে, যা জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। এমতাবস্থায় আশঙ্কা করছি যে,  তদন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে, যার সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র সরাসরি সম্পৃক্ত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। অতএব, বিষয়টি সদয় বিবেচনাপূর্বক তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও ১ নম্বর সদস্য এএইচএম সাজেদুল হককে পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য আপনার প্রতি বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। এতে তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আমি মনে করি।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ বাংলানিউজকে বলেন, বোর্ডের গোপনীয় তথ্য বাইরে গেছে। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা বোর্ডের দীর্ঘদিনের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ছাড়াও গঠিত তদন্ত কমিটির দুই সদস্যদের রাজনৈতিক পরিচয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তাই আমি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছি দেশ এবং সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে তদন্ত কমিটির দুইজন সদস্যকে অপসারণের জন্য।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (বর্তমান সচিব) অধ্যাপক আবদুল আলীম বাংলানিউজকে বলেন, এ সংক্রন্ত কোনো আবেদন এখনো আমি পাইনি।

>> লাখো শিক্ষার্থীর গোপন ফলাফলের তথ্য পেনড্রাইভে!

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ২ মার্চ, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।