চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বিভাগের দুই শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক হওয়ার পরও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.এবিএম নাজমুল ইসলাম খান। এ অবস্থায় বিভাগের সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. এবিএম নাজমুল ইসলাম খান বহাল রাখা কেন অবৈধ হবে না, জানতে চেয়ে উচ্চ আদালত একটি রুল জারি করেছেন।
রোববার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিট আবেদনকারী ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো.সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, বিভাগের তিন শিক্ষকের একটি রিটের প্রেক্ষিতে গত ১০ মার্চ উচ্চ আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে এ বিষয়ে শোকজ করে রুল জারি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছে রুলের বিষয়টি এখনো অফিশিয়ালি আসেনি। তবে বিষয়টি আমি জেনেছি। বিষয়টি আমাদের কাছে নিয়মানুযায়ী পৌঁছাক আগে, এরপর আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৭৩ অনুসারে কোনো বিভাগের শিক্ষকদের মধ্য থেকে (অধ্যাপক না থাকলে) ন্যূনতম সহকারী অধ্যাপক পদে কোনো শিক্ষককে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের ৩০ মে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের দুই শিক্ষক পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হওয়ার পরও গত ৯ মাস সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এবিএম নাজমুল ইসলাম খানকে এ বিভাগের সভাপতি পদে বহাল রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিভাগের তিন স্থায়ী শিক্ষক উচ্চ আদলতে রিট করেন।
আরও খবর>> * সভায় নিজের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য করেন বিভাগের সভাপতি
* প্ল্যানিং কমিটির যাচাই-বাছাই ছাড়াই চবিতে নিয়োগ পরীক্ষা!
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
এমএ/টিসি