ঢাকা, বুধবার, ৩১ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০ টাকা চাঁদাবাজির মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি সম্পন্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
২০ টাকা চাঁদাবাজির মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি সম্পন্ন প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: নগরের হালিশহর থানায় একটি বাস থেকে ২০ টাকা চাঁদাবাজির দায়েরকৃত মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে শুনানি সম্পন্ন হয়।

২০ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় আসামিরা হলেন- নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চরকাকড়া ভুফাইন্যাদের নতুন বাড়ির মো. আবু তাহের প্রকাশ তোহার ছেলে মো.সোহেল রানা সাদ্দাম (৩২), চরহাজারী হাজারিবাট এলাকার মো. সাহাব উদ্দিনের ছেলে মো.সাইফুল ইসলাম (২৮) ও কুষ্টিয়া সদর থানার চৌরহাস পঁচাপুশকানী বকুল চেয়ারম্যান বাড়ির মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে মো. মুন্না আলী (৩৪)। তারা নগরের খুলশী থানাধীন ওয়ারলেস তালতলা আহিদ মিয়ার কলোনিতে বসবাস করেন।

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, হালিশহর থানার মামলা নম্বর: ৮ (১২)২০, জি.আর ২৫১/২০ ও দায়রা ১৯৯৯/২১। ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে যাত্রীবাহী বাসযোগে (চট্টমেট্রো-ব-১১-৫৭৩) সোনালী ব্যাংক, বন্দর ভবন, কাস্টম শাখায় কর্মরত স্টাফদের নামিয়ে দিয়ে চার-পাঁচজন যাত্রী নিয়ে সোয়া ১০টার দিকে হালিশহর থানার এক্সেস রোডে শেভরণ ডায়াগনস্টিকের সামনে যাত্রী ওঠানোর সময় বাসের ভিতরে তিনজন প্রবেশ করেন। এ সময় এই রুটে বাস চালাতে হলে গাড়ি প্রতি ২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে বলে জানান তারা। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বাসে থাকা যাত্রীদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর চালককে বাস থেকে নামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন  এবং পকেট থেকে ২০ টাকা চাঁদা জোর করে আদায় করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তিনজনকে আটক করে। চাঁদার আদায়কৃত ১০ টাকার ২টি নোটও (২০ টাকা) জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় হালিশহর থানায় মামলা হয়। দুই মাস তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তৎকালীন হালিশহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।  

আদালত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, থানায় হাজার হাজার মামলায় গুরুত্ব না দিয়ে একটা ২০ টাকার মামলার জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এজন্য সময় নিয়েছেন দুই মাস। অভিযোগপত্র দিতে গিয়ে অনেক বিষয় সামনে নিয়ে এসেছেন। অথচ এর চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা থানায় পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর। তিনজন আসামির কাছ থেকে ২০ টাকা জব্দও করেছে পুলিশ। এই ধরনের মামলা না নিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থানায় বসে সমাধান দিতে পারতেন। অপরদিকে মামলা চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা আদালতকে বুঝিয়ে বলতে পারতেন। তাহলে মামলাটি এত দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকতো না। মামলার ৩৮৫ ও ৩৮৬ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারের এখতিয়ার না থাকায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।  

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, ২০ টাকার চাঁদাবাজির মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে রাস্ট পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন আদালত। আসামি পক্ষ থেকে অব্যাহতির কোন ধরণের আবেদন করা হয়নি। ৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।