ঢাকা: আলু-পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের বিকল্প বাজার খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে বাজার মনিটরিংয়ের ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে পেঁয়াজ ও আলুর স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল করা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অংশীজনদের নিয়ে সভায় তারা এ পরামর্শ দেন। এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর আলুর বাজারে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে। অবশ্য দাম বেশি হলেও নতুন আলু ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে বাজারে আসবে। এই সময় সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে জানিয়েছেন তারা।
এ ছাড়া পেঁয়াজ ও আলুর সঠিক তথ্য না থাকায় বাজার স্থিতিশীল করা যাচ্ছে না।
এজন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য সরকারের হিমাগার করার জন্য পাইলট প্রকল্প নিতে পারে। যেখানে কম সুদে ঋণ, জমি দিতে পারে উদ্যোক্তাদের। আলুর শুল্ক মেয়াদ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে আরও দুই মাসের জন্য বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
সভায় ট্যারিফ কমিশন একটি পর্যবেক্ষণ ও দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ ও আলুর অন্যতম উৎস ভারত। ভারতের বাজারের পণ্য দুটির দাম বাড়ায় স্থানীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলু আমদানি করা হয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৫৬৮ টন। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গত ৫ মাসে (১ জুলাই-৩০ নভেম্বর) আমদানি করা হয়েছে ৫৬ হাজার ৭৬৩ টন। ভারত থেকে এসব আলু এসেছে। একই অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭০ টন। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৫২ টন। ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিসর চীন ও মিয়ানমার থেকে এসব পেঁয়াজ এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪
জিসিজি/এমজে