ঢাকা: ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নের প্রবেশ মুখে কৌতুহলী মানুষের ভিড়। কেউ ছবি আর কেউ ব্যস্ত সেলফি তোলায়।
একটি লাঠিতে ভর দিয়ে শূন্যে বাসছে এলিয়ন আকৃতির একটি মানব। হাতে অদ্ভুত নখ, লম্বা কান, অদ্ভুত মুখ আর গায়ে লম্বা আলখাল্লা। পায়ে বুট জুতা। দেখে বোঝার উপায় নেই, ভেতরে কোন মানুষ কি না। জিজ্ঞেস করতেই দেখিয়ে দিচ্ছে ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন।
২১তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় সবচে দৃষ্টিনন্দন ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের প্রবেশ মুখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট ও বিনোদন দিতে ডানপাশে স্থাপন করা হয়েছে এলিয়ন আকৃতির একটি ও বামপাশে ভাসমান মানব। সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আলো আধাঁরির মধ্যে প্যাভিলিয়নের সামনে দেখা মেলে এলিয়ন ও ভাসমান মানব।
মেলার সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নের সামনে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেলস অফিসার মো. ফরহাদ হোসেন।
শিশু আকিব আর জনিকে নিয়ে এসে অনেকটা বিপাকে পড়লেন মা নার্গিস সুলতানা। শিশুরা এলিয়নের গল্প শুনেছে, কিন্তু বাস্তবে দেখে ছবি তোলা আর কথা বলতে বাহানা। কিন্তু দূর থেকে দেখতে হবে জানিয়ে দিলেন নিরাপত্তাকর্মী।
সুলতানা জানান, মাত্র একটি লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়ানো। হাত, মুখ নড়ছে। ইশারা করছে। স্মরণী করে রাখতে দু’সন্তানকে নিয়ে তুললেন সেলফি।
রিনা-সমির দম্পত্তি ঘুরতে এসে থ! এতো বড় আলখাল্লা। তার মধ্যে নড়ছে কেউ। দু’জনের আলাপচারিতায় বলছে, শূন্যে দাঁড়ানো তো এলিয়ন ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়।
সমির জানান, মেলায় ঢুকতেই ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নের সামনে এমন ভিড় দেখে আসলাম। এসেই চোখ ছানাবড়া। এলিয়নকে ঘিরে সবার কৌতুহল দেখে ভালো লাগছে।
জিহাদ নামে একটি শিশু তো নাছোড়বান্দা। কাছে গিয়ে ধরে দেখতে হবে, সঙ্গে ছবি তোলা। নিরাপত্তাকর্মীর না সত্ত্বেও অনেকের অনুরোধে গিয়ে ধরে দেখলেন। তুললেন ছবি।
প্যাভিলিয়নের সেলস অফিসার মো. ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মেলা মানে পণ্যের ব্র্যান্ডিং। ওয়ালটন দেশিয় একটি ব্র্যান্ড। শুধু পণ্য বিক্রি নয়, দর্শকদের মন কাড়তে ও আনন্দ দিতে এলিয়ন আর ভাসমান মানব স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৫
আরইউ/বিএস
** নাভানায় নতুন পণ্যের শোভা, সর্বোচ্চ ছাড়
** চালু হয়নি বেশিরভাগ বিদেশি প্যাভেলিয়ন