ঢাকা: দেশজুড়ে এখন চলছে আমন ধান কাটার উৎসব। মোটা-চিকন চালের দামও নাগালের মধ্যে।
এ মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, অক্টোবর মাসে যা ছিল ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, তামাক, দুধজাতীয় দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্যও গত মাসে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিল।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিবিএসের দেওয়া ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য প্রকাশ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নভেম্বর মাসে প্রচুর সবজি কৃষকের জমিতে উৎপাদিত হয়েছে। যে কারণে মূল্যস্ফীতির হারও কম। আমন ধান কাটার মৌসুম চলছে বলে চালের দামও কম। যে কারণে মূল্যস্ফীতির হার স্বস্তি দিয়েছে।
আমন ধান ও সবজির বাম্পার ফলনে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। অক্টোবর মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ০৯ শতাংশ।
নভেম্বরে খাদ্য বহির্ভূত খাতেও মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অক্টোবর মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত মাসে জ্বালানি ও আলো, প্রসাধনী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, আসবাবপত্র, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতও স্বস্তি দিয়েছে দেশবাসীকে।
বর্তমানে গ্রামীণ পর্যায়েও মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে শতকরা ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
নভেম্বর মাসে আমন ও সবজিই মূলত তিন খাতেই মূল্যস্ফীতির হারে স্বস্তি দিয়েছে বলেও জানায় বিবিএস।
বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা সাধারণভাবে বলতে পারি, চালের কারণেই মূল্যস্ফীতির হার বাড়ে। এখন দেশজুড়ে কৃষকের ঘরে আমন ধান উঠছে। মোটা ও চিকন চালের দামও স্বস্তিতে। সবজির ফলনও ভালো হয়েছে। এ দু’টি প্রয়োজনীয় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হারে অনেক প্রভাব ফেলে’।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর