ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ালটনের রিসার্চ সেন্টার চালু

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ালটনের রিসার্চ সেন্টার চালু দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ালটনের রিসার্চ সেন্টার চালু।

ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়ায় চালু হলো ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (গবেষণা ও উদ্ভাবন) সেন্টার। এ উদ্দেশ্যে দেশটির খ্যাতনামা একটি ডিজাইন হাউজের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন।

চুক্তি অনুযায়ী ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যের মান ও ডিজাইনে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করবে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ওয়ালটনের এই উদ্যোগের ফলে পণ্যের মান ও ডিজাইনে আমূল পরিবর্তন আসবে। এতে করে উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও, বাংলাদেশের ক্রেতারা প্রকৃত অর্থেই পাবেন আন্তর্জাতিক মান ও ডিজাইনের পণ্য ব্যবহারের অভিজ্ঞতা।

জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। তাঁর উপস্থিতিতে গত ২ জুন (বৃহস্পতিবার) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। তবে চুক্তির শর্ত মেনে কোরিয় ডিজাইন হাউজটির নাম প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই।

ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের কোরিয়া অপারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আজমল ফেরদৌস বাপ্পির তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব সাপ্লাই চেইন মোহসিন সরদার, হেড অব সোর্সিং (রেফ্রিজারেটর) আমিনুল ইসলাম, রেফ্রিজারেটরের হেড অব আরঅ্যান্ডআই তোফায়েল আহমেদ এবং হেড অব ইলেক্ট্রনিক্স আরঅ্যান্ডআই আব্দুল মালেক শিকদার।

উল্লেখ্য, পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ক্রেতাদের সর্বাধুনিক ডিজাইনের আন্তর্জাতিকমানের পণ্য দিতে এবং গ্লোবাল মার্কেট জয়ের লক্ষ্যে একের পর এক বড় উদ্যোগ নিচ্ছে ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি অর্ধশতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় তিনটি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড এবং এর প্রোডাকশন প্ল্যান্ট, ৫৭টি দেশে ট্রেডমার্ক, প্যাটেন্ট, ডিজাইন এবং সফটওয়্যার লাইসেন্সসহ স্বত্ব লাভ করে।

ওয়ালটনের এসব উদ্যোগ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা লাভে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার যে টার্গেট ওয়ালটন নিয়েছে, তা অর্জনের পথ সুগম করবে।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া নিঃসন্দেহে বর্তমান বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের অন্যতম কেন্দ্র। দেশটিতে রিসার্চ সেন্টার স্থাপন এবং খ্যাতনামা একটি ডিজাইন হাউজের সঙ্গে যৌথভাবে কাজের উদ্যোগ বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাতের জন্য একটি জায়ান্ট স্টেপ। এতে ওয়ালটনের সক্ষমতার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সপার্টাইজ মিলিয়ে ক্রেতারা আন্তর্জাতিক মানের ইনোভেটিভ ডিজাইনের পণ্য পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।