ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৫ দাবি, না মানলে ধর্মঘট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২২
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৫ দাবি, না মানলে ধর্মঘট

ঢাকা: তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানো ও তেলের পাম্পে বিপিসির অংশগ্রহণ ছাড়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বন্ধসহ ৫ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউশন, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সাত দিনের মধ্যে এসব দাবি মানা না হলে আগামী ৩১ আগস্ট ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত তেলের পাম্প বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।

বুধবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের এ হুমকি দেওয়া হয়।

অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো নাজমুল হক বলেন, আমাদের কমিশন বাড়ানোর জন্য আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। সেই ২০১৩ সালে আমাদের তেল বিক্রিতে কমিশন অকটেন ও পেট্রোলে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ডিজেলে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ নির্ধারিত ছিল। আমরা ২০১৬ সাল থেকে ৭ শতাংশ করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সেটা না করে শতাংশের বদলে পয়সার হিসাব নির্ধারণ করা হয়েছে। যার ফলে তেলের দাম বাড়লেও আমাদের কোনো লাভ হয়নি। বরং শতাংশের পরিমাণ কমে পেট্রোল-অকটেনে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ডিজেলে ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ হয়ে গেছে।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, তেলের পাম্পে অনিয়মের নামে ঢালাওভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে বিপিসির একজন প্রতিনিধি থাকার কথা থাকলেও তাদের না নিয়ে শুধু মাজিস্ট্রেট গিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এটা পাম্প মালিকদের ওপর জুলুম।  

৫ দফা দাবি জানিয়ে নাজমুল হক বলেন, আমাদের দাবি ও সরকারের ৭ পার্সেন্ট কমিশন করার আশ্বাস বাস্তবায়ন না করা হলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন অর রশীদসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা।

পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন দাবিগুলো হলো— জ্বালানি মন্ত্রণালয়, বিপিসি এবং অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের মাঝে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তেল বিক্রির কমিশন তেলের মূল্যের ওপর শতকরা হারের ভিত্তিতে করতে হবে; তেলের পরিমাপে কারচুপি রোধে নিয়মিত মনিটরিং বা অভিযান পরিচালনা করতে হবে; বিপিসি বা বিপনন কোম্পানি প্রতিনিধি ছাড়া ভোক্তা অধিদপ্তর, বিএসটিআই-এর অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যাবে না এবং অনতিবিলম্বে তেল কোম্পানি, বিএসটিআই এবং অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত মনিটরিং সেলের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

এছাড়া বিপিসি, বিপণন কোম্পানি এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয় ছাড়া অন্য কোনো দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান পাম্পের কাগজপত্র চেক করার নামে পাম্প মালিকদের হয়রানি করা যাবে না; বিপিসি, বিপনন কোম্পানি এবং বিএসটিআই ও অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাম্পের আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিবারেশন (যার সাথে ভোক্তার কোনো স্বার্থ জড়িত নাই) সার্টিফিকেট নবায়ন প্রথা বাতিল করতে হবে; সকল ডিপোতে পার্কিং স্ট্যান্ড নির্মাণ করতে হবে; ট্যাংকলরি চালকদের জন্য বিআরটিএ কর্তৃক আলাদা কাউন্টার করার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং শোধনাগার সুবিধা সমন্বিত বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ডের শোধনাগার পূর্বের ন্যায় চালু করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২২
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।