ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

জুয়েলারি শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আহ্বান বাজুসের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
জুয়েলারি শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আহ্বান বাজুসের

নীলফামারী: দেশে জুয়েলারি শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আহ্বানে নীলফামারীতে মতবিনিময় সভা করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতারা।  

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে বাজুস নীলফামারী শাখার আয়োজনে প্রজাপতি কনভেনশন সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের সাবেক

সভাপতি ও চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, পোশাক শিল্পের পরেই যদি কোনো রপ্তানি শিল্প থাকে সেটা হবে জুয়েলারি শিল্প। এ শিল্পের উন্নয়নে আমরা আমাদের বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে কাজ করছি।  

তিনি বলেন, এক সময়ে বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্পীদের নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। আমাদেন নীতিমালা না থাকার কারণে দেশে নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে ওঠার পরিবর্তে বরং ধ্বংস হয়েছে। ফলে এসব শিল্পে জড়িত শিল্পীরা বেকার হয়ে পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় গিয়েছেন, অথবা পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে তারা সুন্দরভাবে অলঙ্কার তৈরি করে ওই দেশের সুনাম অর্জন করছেন। বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে নতুন যে শিল্পায়ন হতে যাচ্ছে এই শিল্পায়নে আবার সেই হারিয়ে যাওয়া, বিমুখ হওয়া সেই ঐতিহ্যবাহী হাজার হাজার স্বর্ণ শিল্পীদের কর্মসংস্থান হবে এবং তারা যেমনি পুনর্বাসিত হতে পারবেন, দেশ তেমনি এগিয়ে যেতে পারবে। ’

দিলীপ কুমার রায় তিনি বলেন, জুয়েলারি শিল্পে দীর্ঘদিন নীতিমালা না থাকার কারণে খয়িষ্ণু হয়ে গিয়েছিল। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সে হারানো ঐতিহ্য ফিরে এসেছে। তিনি পুনরায় এ শিল্পকে তার সেই পুরোনো ঐতিহ্যে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। এখন বাংলাদেশ জুয়েলারি শিল্প আগামী দিনের বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীদার। আমরা এ শিল্পটাকে আর পরনির্ভরতা চাই না। বিদেশি অলঙ্কার এনে বাজারে আমরা বিক্রি করতে চাই না। আমাদের প্রেসিডেন্টের লক্ষ্য বাংলাদেশেই নতুন নতুন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হবে, যে শিল্প কারখার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের সেই ঐতিহ্যবাহী অলঙ্কার তৈরি হবে। সেই অলঙ্কার আমরা বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করবো এবং সেই রপ্তানিকৃত স্বর্ণের মধ্য দিয়ে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবো। তাতে একভাবে যেমন আমাদের এ শিল্পের উন্নয়ন হবে, তেমনি আমরা বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ, সেখানে আমরা জিডিবিতে অংশ নিতে পারবো।

দেশে জুয়েলারি শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জুয়েলারি শিল্পকে নতুন করে ঢেলে সাজাচ্ছেন বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার লোক সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। অচিরেই প্রায় লক্ষাধিক ব্যবসায়ী এই সংগঠনে যুক্ত হবেন। এই সংগঠনকে শক্তিশালী করে আমরা আমাদের এই শিল্পের যেমন উন্নয়ন ঘটাবো, তেমনি বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পে আনাচে-কানাছে যেসমস্ত পুঞ্জিপুত সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো আমরা স্বচক্ষে দেখে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের পর আজ নীলফামারী এরপর কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ সারা দেশে আমরা যাচ্ছি। সারাদেশে জেলা উপজেলায় আমাদের সংগঠন রয়েছে। এই সদস্যগুলিকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করে আগামী দিনে এই জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়ন ঘটাবো।  

জেলা বাজুসের সভাপতি শাসসুল আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি বাজুস উপদেষ্টা ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের সদস্য সচিব মো. রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের সদস্য এনামুল হক সোহেল।  

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাজুস দিনাজপুর শাখার সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, রংপুরের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু জাফর লিটন, বাজুস নীলফামারী শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম প্রমুখ।

সভায় বাজুস নীলফামারী জেলা ও ছয় উপজেলার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে জেলা শাখার সদস্যরা অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। এর পর কোরআন তেলাওয়াত, গীতাপাঠ ও জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।